র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে পড়েও বাংলাদেশ পরের বিশ্বকাপে খেলবে সরাসরি মূল পর্বে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।
বিশ্বকাপের গেল আসরে এক ম্যাচে জয় না পেয়েও চলতি আসরের মূল পর্বে সরাসরি খেলার সুযোগ হয়েছিল বাংলাদেশের। সেই আসরে সেমিফাইনাল না খেলতে পারলেও বিশ্বকাপ মিশন শেষ হওয়ার আগে সেরা আটে থাকার সুবাদে সরাসরি সুপার টুয়েলভে খেলে বাংলাদেশ।
এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে দুই ম্যাচে। কিন্তু সুপার টুয়েলভ থেকে বিদায়ের আগে তাদের থাকা সম্ভব হয়নি সেরা আটে। মূলত দশ নম্বর দল হয়ে বিশ্বকাপ মিশন শেষ করে সাকিব-লিটনেরা। এতে করে শঙ্কা জেগেছিল ২০২৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথভাবে আয়োজন করতে যাওয়া বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সরাসরি খেলা নিয়ে।
তবে অবসান ঘটেছে শঙ্কার, আইসিসি জানিয়েছে আগামী বিশ্বকাপেও বাছাইপর্ব খেলতে হবে না বাংলাদেশকে। র্যাঙ্কিংয়ে সেরা দশে থাকার সুবাদে এ যাত্রায়ও বেঁচে গেল টিম টাইগার্স। নতুন নিয়মের কারণে সরাসরি বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলার সুযোগ পেতে যাচ্ছে তারা।
আইসিসির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এবারের আসরের সুপার টুয়েলভে দুই গ্রুপের সেরা ৮ দল- নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা, ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডস সরাসরি খেলার সুযোগ পাবে ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে।
এই আট দলের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা দুই দলের সুযোগ হবে বাছাইপর্ব ছাড়াই মূল পর্বে খেলার। আর তাতেই শঙ্কার কালো মেঘ কেটে যায় বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের ওপর থেকে।
একই সঙ্গে আয়োজক হিসেবে সরাসরি মূল পর্ব খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্র।
প্রতিবার আট দল আগে থেকেই মূল পর্বে খেলতে পারলেও আগামী আসরে সরাসরি খেলবে পারবে ১২ দল।
বাকি ৮ দল নির্ধারিত হবে কোয়ালিফায়ারের মাধ্যমে। আফ্রিকা অঞ্চলের কোয়ালিফায়ার থেকে আসবে ২টি দল, এশিয়া অঞ্চল থেকে ২ দল, ইউরোপ থেকে ২টি, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১টি আর ইস্ট এশিয়া প্যাসিফিক থেকে আসবে ১টি দল।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরটা হবে কিছুটা ভিন্ন ফরম্যাটে। ২০ দলের টুর্নামেন্টে থাকবে ৪ গ্রুপ। প্রতি গ্রুপে ৫টি করে দল। প্রতি গ্রুপ থেকে ২টি করে দল উঠবে সুপার এইটে। সুপার এইটের পর সেমিফাইনাল এরপর ফাইনাল।