চাল আমদানির উদ্যোগ নিতে একসঙ্গে তিন দেশ সফরে যাচ্ছেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও কর্মকর্তারা। চুক্তি করার জন্য এসব দেশের সফরে যাবেন মন্ত্রী। দেশ তিনটি হচ্ছে থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া।খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের নেতৃত্বে আগামী ২১ নভেম্বর তিন দেশ সফরে যাবেন কর্মকর্তারা। এর মধ্যে মন্ত্রী ও খাদ্যসচিব তিনটি দেশই সফর করবেন। মন্ত্রণালয়ের ও খাদ্য অধিদপ্তরের বাকি কর্মকর্তারা ভাগ হয়ে একটি করে নির্দিষ্ট দেশে যাবেন।
খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে সরকারিভাবে (জিটুজি) পাঁচ লাখ ৩০ হাজার টন চাল আমদানির চুক্তি করা আছে। এর মধ্যে থাইল্যান্ড ও মিয়ানমার থেকে দুই লাখ টন। ভারত থেকে এক লাখ টন এবং ভিয়েতনাম থেকে ৩০ হাজার টন চাল আমদানির চুক্তি আছে।গত ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দেশে এসেছে প্রায় ৯৩ হাজার টন চাল, যার পুরোটাই ভারত থেকে। থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও মিয়ানমার থেকে কোনো চাল এখনো এসে পৌঁছায়নি। এসব দেশ থেকে আমদানি চালের চালান আসতে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
তবে আমদানিতে যাতে আর দেরি না হয় সে জন্য সরাসরি থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম যাচ্ছেন মন্ত্রী ও সচিব। আর কম্বোডিয়া সফরের উদ্দেশ্য নতুন করে চুক্তির সম্ভাব্যতা যাচাই করা। মন্ত্রীর এই সফরও কম্বোডিয়া দিয়ে শুরু হচ্ছে।দেশে খাদ্য মজুদ পরিস্থিতি সন্তোষজনক আছে। এর পরও সরকার ঝুঁকি নিতে চাইছে না। গত ৬ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে খাদ্যশস্যের মজুদ ছিল ১৫ লাখ ৮১ হাজার ১৬৬ টন। এর মধ্যে চালের মজুদ ১৩ লাখ ৬৩ হাজার ৯৩৩ টন, গম দুই লাখ ৯ হাজার ৩৩৩ টন এবং ধানের মজুদ ১২ হাজার ১৫৩ টন।