আগামী বছরের মধ্য জানুয়ারির মধ্যে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রকল্প পাস না হলে ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। তিনি বলেন, মধ্য জানুয়ারির মধ্যে সাপ্লাই অর্ডার দিতে হবে। জানুয়ারির মধ্যে যদি প্রকল্প পাস না হয় তাহলে এলসি খোলা, সেগুলো দেশে আনা ও কোয়ালিটি কন্ট্রোল করা সম্ভব হয়ে উঠবে না।
তবে বর্তমানে যে ইভিএমে আছে তা দিয়ে ৭০ থেকে ৭৫টি আসনে ভোট সম্ভব জানিয়ে তিনি বলেন, সেগুলো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যবহার করা হবে। বুধবার নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের ইচ্ছা ছিল সর্বোচ্চ দেড়শ আসনে ইভিএমে ভোট করা। বর্তমানে যে ইভিএম আছে সেটা দিয়ে ৭০ থেকে ৭৫টা আসনে ভোট করা সম্ভব। সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করার জন্য প্রজেক্ট পাঠানো হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, প্রজেক্ট আসলে অর্থনৈতিক সক্ষমতার ওপর নির্ভর করে। পরিকল্পনা কমিশন বা অর্থ মন্ত্রণালয় কতটুকু টাকা দিতে তার উপরে নির্ভর করে।
সারাবিশ্বে অর্থনৈতিক সংকট আছে জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ তো তার বাইরে না। ইভিএমের যে ব্যয় তার অধিকাংশই ফরেন কারেন্সিতে করতে হবে। বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে।
রিজার্ভের একটা সমস্যা থাকতে পারে। অর্থনৈতিক সমস্যা থাকতে পারে। এটাতো সারাবিশ্বে আছে। বাংলাদেশেও আছে। সে হিসেবে প্ল্যানিং কমিশন যদি বলে তারা কতটুকুু পারবে কি পারবে না। কতটুকু সামর্থ্য আছে। তারা যদি বলে এই টাকার মধ্যে সম্ভব। এতগুলো ইভিএম প্রকিউর করতে পারবো। সেগুলো আমরা দেখবো। তখন দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারবো।