ফরিদপুরে বাস মালিকদের ডাকা দুই দিনের ধর্মঘটের কারণে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের পাঁচ জেলা সঙ্গে রাজধানীর সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ঢাকা ও ভারতের যাত্রীরা।
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, ফরিদপুরে গণসমাবেশ ভন্ডুল করতে সরকার এমন কাজ করিয়েছে।
শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে বরিশাল, পটুয়াখালী, ঝালকাঠী, বরগুনা ও পিরোজপুর থেকে ঢাকা রুটে কোনো বাস চলাচল করছে না। পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটার সঙ্গেও রাজধানীর বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
এ নিয়ে এক সপ্তাহের ব্যবধানে মোট চারদিন বরিশালের দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকছে।
বরিশাল-ঢাকা রুটে বাস বন্ধে পূর্ব ঘোষণা না থাকায় যাত্রীরা পড়েছেন ভোগান্তিতে। বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে গিয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যেতে দেখা গেছে। ভারতগামী যাত্রীরাও পড়েছেন বিপাকে। বন্ধ রয়েছে বরিশাল বেনাপোল রুটের বাস চলাচলও।
ঢাকা রুটে বাস চলাচল বন্ধের বিষয়ে বরিশাল বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি গোলাম মাসরেক বাবলু বলেন, ‘বৃহত্তর ফরিদপুরের বাস মালিক-শ্রমিকরা শুক্র ও শনিবার ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছেন। বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চল থেকে ঢাকা রুটের বাসগুলো ফরিদপুরের ভাঙ্গা মোড় পার হতে হয়।
‘পরিবহন ধর্মঘট থাকায় ওই জেলার সড়কপথে বাস চলাচল করতে দেবেন না পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। তাই দক্ষিণাঞ্চলের সব জেলা থেকে রাজধানীমুখী বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। বরিশাল থেকে বেনাপোল রুটেও বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।’
বরিশাল-ঢাকা রুটের ইলিশ পরিবহনের চালক মো. ফিরোজ জানান, রাজধানীর সঙ্গে বাস চলাচল শুক্র ও শনিবার বন্ধ থাকবে।
ফরিদপুরে বিএনপির গণসমাবেশের সমন্বয়কারী শামা ওবায়েদ বলেন, ‘সরকার সব জায়গায় পরিবহন ধর্মঘট ডেকে বিএনপির সমাবেশ ভন্ডুল করতে চেয়েছে। ফরিদপুরেও তেমনটা করা হচ্ছে। কোনো ষড়যন্ত্র শনিবার বিএনপির সমাবেশকে আটকাতে পারবে না।’
শনিবার বেলা ১১টায় ফরিদপুর জেলা শহর থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে কোমরপুরে আবদুল আজিজ ইনস্টিটিউট মাঠে বিএনপির গণসমাবেশ শুরু হবে।
৫ নভেম্বর বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে দুইদিন একইভাবে বাস-লঞ্চসহ সব ধরনের যানবহন বন্ধ রাখা হয়েছিল।