রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসনের মতো পরিস্থিতি চায় না নির্বাচন কমিশন। সেটি নিশ্চিত করতে মাঠ প্রশাসনসহ সবার সহযোগিতায় জোর দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
রংপুর সিটিতে ভোটের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বলে দিয়েছি। সবাই ডিসি-এসপিদের সঙ্গে যখনই বসবেন এই মেসেজটা দেবেন গাইবান্ধার মতো নির্বাচন আমরা চাই না। কখনওই ইলেকশন কমিশন এটা চায় না।’
মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এই কমিশনার বলেন, ‘আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া কিন্তু হবে না। এটা আমরা বরাবরই বলে এসেছি। প্রত্যেকের সহযোগিতা লাগবে।’
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে শূন্য হওয়া গাইবান্ধা-৫ আসনে ভোটের দিন গত ১২ অক্টোবর নির্বাচন বন্ধ করে দেয় কমিশন। ইভিএমে আঙুলের ছাপে ভোটারের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর গোপন কক্ষে থাকা অননুমোদিত ব্যক্তিরা স্বাধীনভাবে ভোট দিতে বাধা দিচ্ছিলেন। কেন্দ্রে থাকা ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে একে একে ৫১টি কেন্দ্রে ভোট স্থগিতের পর গোটা নির্বাচনই বন্ধ করে দেয়া হয়।
ভোটের দিন নির্বাচন বন্ধের ক্ষমতা এই প্রথম প্রয়োগ করেছে নির্বাচন কমিশন। জানানো হয়েছে এখন থেকে অনিয়ম হলেই এই ক্ষমতার প্রয়োগ করা হবে।
গাইবান্ধা ভোট নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, এমন প্রশ্নে রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘আজকে আর এটা নিয়ে কথা হয় নাই। হলে জানতে পারবেন, জানাব।’
অন্য এক প্রশ্নে তিনি জানান, রংপুর সিটিতে থাকা বেশ কিছু ইভিএম নষ্ট হয়েছে। তবে সঠিক সংখ্যা জানা নেই। নষ্টগুলো সারানোর ব্যবস্থা করা যাবে।