জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকির নির্বাচন নিয়ে করা মন্তব্যে বিব্রত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য যে রাষ্ট্রদূতকে বঙ্গবন্ধু পদক দিয়ে সম্মানিত করা হয়েছে, এমন একজন পেশাদার কূটনীতিকের কাছ থেকে এ ধরনের মন্তব্য আশা করেনি মন্ত্রণালয় বলে জানিয়েছেন একাধিক সূত্র।
এ বিষয়ে একজন কূটনীতিক বলেন, একজন পেশাদার কূটনীতিক কখনও শোনা কথার ওপর ভিত্তি করে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকবে, এটা সবাই প্রত্যাশা করে। কিন্তু এখানে রাষ্ট্রদূত বলেছেন—তিনি ২০১৮ এর নির্বাচন সম্পর্কে শুনেছেন। শোনা কথার ওপর প্রকাশ্যে মন্তব্য করাটা কিছুটা অপেশাদার।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত হিসাবে নিয়োগপ্রাপ্ত নাওকি গত সোমবার সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, তিনি শুনেছেন পুলিশ নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে ফেলেছে। আমি অন্য কোনও দেশে এ ধরনের উদাহরণ শুনিনি। এধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি উচিৎ নয়। রাষ্ট্রদূত নাওকিকে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য এ বছর বঙ্গবন্ধু উৎকর্ষ পদকে ভূষিত করা হয়।
আরেকজন কূটনীতিক বলেন, এ মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরের কথা আছে। স্বাভাবিকভাবে সফরের আগে এধরনের মন্তব্য সরকারের জন্য বিব্রতকর।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রদূত নাওকির শেষ অ্যাসাইনমেন্ট হচ্ছে এই সফর। সফরের আগে এ ধরনের মন্তব্য আমরা আশা করিনি।
রাষ্ট্রদূত নাওকি সোমবার (১৪ নভেম্বর) সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ আয়োজিত ‘মিট দি অ্যাম্বেসেডার’ অনুষ্ঠানে বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর জাপান দূতাবাস সহিংসতা নিয়ে একটি বিবৃতি দেয়। এটি ব্যতিক্রমধর্মী ঘটনা কারণ জাপান কোনও দেশের নির্বাচনের পর বিবৃতি দেয় না।
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রয়োজন জানিয়ে তিনি বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে আশা করি নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। নির্বাচন কমিশন, সরকার বলছে তারা সুষ্ঠু নির্বাচন করবে। আমি আশা করি সব বৃহৎ দল ওই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।
BT