এখনো পাঁচ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আরও বলেছেন, দেশের উন্নয়নেই রিজার্ভের টাকা খরচ হয়েছে।
শনিবার আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে বৈঠকে রিজার্ভ, জ্বালানি, বিদ্যুৎ পরিস্থিতি, গণতন্ত্রসহ নানান বিষয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। সকাল ১০টার পর তার সভাপতিত্বে গণভবনে এ বৈঠক শুরু হয়। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সিংহভাগ সদস্য সভায় উপস্থিত রয়েছেন।
সভায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জানান, এখনো ৫ মাসের ব্যয় মেটানোর মতো রিজার্ভ রয়েছে।
রিজার্ভের পরিমাণ ও এর খরচ নিয়ে বিরোধীদলগুলোর তোলা প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, এখনও ৫ মাসের ব্যয় মেটানোর মতো রিজার্ভ আছে। যারা বলেন রিজার্ভের টাকা কোথায় গেল? কেন খরচ হচ্ছে? তাদের বলছি- রিজার্ভের টাকা গেছে গম, ভুট্টা, ভোজ্যতেলসহ মানুষের খাদ্য কেনায়, সার কেনায়, মানুষের দৈনন্দিন চাহিদা মেটানোর জন্য।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ২০০৮ নির্বাচনের পর, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর, এক টানা ২০২২ পর্যন্ত এদেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই আজকে বাংলাদেশের উন্নতি হয়েছে। না থাকলে এতো উন্নতি হতো না। আমরা খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রে যথেষ্ট সাফল্য আনতে পেরেছি।
‘আওয়ামী লীগ বিএনপির মতো দুর্নীতি করেনি। মানুষের কল্যাণে কাজ করেছে’—যোগ করেন তিনি। তিনি আরও জানান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট আগামী মাসে কেটে।
বক্তব্যে বিএনপির আমলের নির্বাচনের অনিয়মের বিষয় তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির আমলে কী হতো তার জন্য বেশি দূর যেতে হবে না। ২০০১ সালের নির্বাচন, মাগুরার নির্বাচন, মিরপুর-১০ নির্বাচনগুলো স্মরণ করলে হবে। কথা ছিল (প্রচলিত) ১০ হোন্ডা, ২০ গুন্ডার নির্বাচন। ভোটের সিল মারা থেকে শুরু করে নানান অপকর্ম হতো। যার জন্য আমরা স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন করেছি। ২০০৬ সালে নির্বাচন করার জন্য ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার লিস্ট করেছিল বিএনপি।
সভায় আওয়ামী লীগের আসন্ন জাতীয় সম্মেলন, গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্র প্রণয়ন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন, নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়নসহ নানা ইস্যুতেও উপদেষ্টাদের সঙ্গে পরামর্শ করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। পাশাপাশি দল ও সরকারের নানা ইস্যুতে উপদেষ্টাদের সঙ্গে আলাপও করবেন বলে সূত্র জানিয়েছে।