সচিব পর্যায়ের বৈঠক বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে ভার্চ্যুয়ালি হলেও সরাসরি হয়নি। তিন বছর পর আজ রোববার শুরু হচ্ছে এ সভা। প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকে আগামী দিনের অনেকগুলো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে হলে জানা গেছে। একই দিনে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) বৈঠকেও অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী।প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আজ রোববার (২৭ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় নিকার এবং দুপুর ১টায় সচিব সভা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ও মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলমান বৈশ্বিক সংকটকালীন প্রেক্ষাপটে দেশের অর্থনীতিকে সুসংহত রাখা, কৃষির উৎপাদন বাড়াতে সারের জোগান নিশ্চিত করাসহ দেশের খাদ্যনিরাপত্তা জোরদার করা এবং জ্বালানি সংকট সমাধানের বিষয়ে আলোচনা হবে। বৈঠকে সচিবদের উদ্দেশে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি নির্দেশনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
এক বছরেরও বেশি সময় পর সচিবদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সভা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সর্বশেষ সচিব সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল গত বছরের ১৮ আগস্ট। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ওই সভার আয়োজন করা হয়েছিল৷ ওই সময় প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ভার্চুয়াল সভায় অংশ নেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী আজকের অনুষ্ঠেয় সভায় সচিবদের সঙ্গে ১০টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। বিষয়গুলোর ওপর সচিবদের মতামত শুনবেন তিনি। বিষয়গুলো হচ্ছে— দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে দেশের অর্থনীতিকে সুসংহত রাখা, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, প্রয়োজনীয়তার নিরিখে প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ, কৃষির উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে সারের জোগান নিশ্চিতকরণ ও পতিত জমি চাষাবাদ, সরকারি কাজে আর্থিক বিধিবিধান অনুসরণ করা, সরকারি সেবা প্রদানে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বিষয়ক পরিকল্পনা, ভূমিকম্প-অগ্নিকাণ্ড-বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে পর্যালোচনা, পার্বত্য চট্টগ্রাম পরিস্থিতির পর্যালোচনা এবং সুশাসন ও শুদ্ধাচার।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিকারের অনুষ্ঠেয় সভায় দেশে আরো দুটি নতুন বিভাগ গঠনের প্রস্তাব তুলে ধরা হবে। এ সময় বৃহত্তর ফরিদপুরের পাঁচটি জেলা নিয়ে ‘পদ্মা’ এবং বৃহত্তর কুমিল্লার তিনটি ও নোয়াখালীর তিনটি করে মোট ছয়টি জেলা নিয়ে ‘মেঘনা’ বিভাগ গঠনেরও প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। নতুন এ দুটি বিভাগ হলে দেশে বিভাগের সংখ্যা দাঁড়াবে ১০টিতে।