অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য হিসেবে শপথগ্রহণ করলেন অভিনেত্রী মৌসুমী ও অভিনেতা আলী রাজ। গত রোববার রাতে এফডিসি’র চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির অফিসে শপথবাক্য পাঠ করান সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন একই প্যানেল থেকে নির্বাচিত ডিপজল ও রুবেল।
এদিন সমিতির কার্যকরী কমিটির মিটিং হয়। সেই মিটিংয়ে অংশ নেয়ার জন্য মিশা-জায়েদ খান প্যানেল থেকে বিজয়ীদের অংশগ্রহণ করার জন্য চিঠি দেয়া হয়। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে সেখানে উপস্থিত ছিলেন তারা।
তারা জানান, আদালত যেহেতু ক’দিন আগে রায় দিয়েছেন, তাই তারা নিপুণকে অফিসিয়ালি বরণ করেছেন। শিল্পী সমিতির মিটিংয়ে দুই প্যানেল থেকে নির্বাচিত প্রত্যেক সদস্যই নিজেদের মধ্যে বিভেদ ভুলে এক হয়েছিলেন।
আরও উপস্থিত ছিলেন- নির্বাচিত কমিটির রিয়াজ, সাইমন, ইমন, জয় চৌধুরী, অঞ্জনা, কেয়া, জাদু আজাদ, আরমান, জেসমিন, নাদির খান ও শাহনূরসহ অনেকেই। উল্লেখ্য, গত ২৮শে জানুয়ারি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হন নিপুণ ও জায়েদ খান। নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলে জয়লাভ করেন জায়েদ। এরপর পুনর্গণনাতেও তিনি জয় পান। পরবর্তীতে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তোলেন নিপুণ।
সেই প্রেক্ষিতে পদটি নিয়ে শুরু হয় বিতর্কের ঝড়। বিষয়টি সমাধানের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ দেয়া হয় নির্বাচনের আপিল বোর্ডকে। তারা তদন্ত শেষে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে এবং নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী ঘোষণা করে। এরপর জায়েদ খান আদালতে রিট করেন। সেই রিটের বিপরীতে আবার নিপুণ আপিল করেন। সবশেষ গত ২১শে নভেম্বর আদালতের আদেশে বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ। এর মধ্যদিয়ে দীর্ঘ ৯ মাস ধরে পদটি নিয়ে জটিলতার অবসান হয়েছে।