শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২৩ অপরাহ্ন




আমনের বাম্পার ফলনে রাজ্যের হাসি পার্বত্য রাজস্থলীর কৃষকের মুখে

আউটলুক বাংলা রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময়: শনিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২২ ১২:০৪ pm
Aman Boro paddy farmers fertiliser Ministry of Land জমি জরিপ ভূমি মন্ত্রণালয়Urea ইউরিয়া সার Urea Fertilizer ইউরিয়া ফার্টিলাইজার সার Urea Fertilizer ইউরিয়া ফার্টিলাইজার সার Boro paddy farmers Rice ধান আমন ধান কৃষক
file pic

রাঙামাটির রাজস্থলীতে শুরু হয়েছে আগাম জাতের রোপা আমন ধান কাটার উৎসব। আমন ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।

সোনালি ধান আগমনের বাপ্পার ফলনে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে এখন কেবল ধান আর ধান। হেমন্তের সকালে সে ধানের ডগায় শোভা পাচ্ছে মুক্তার মতো ঝলমলে শিশির বিন্দু। কোথাও কোথাও এরই মধ্যে সবুজ ধান পেকে সোনালি বর্ণ ধারণ করেছে। কদিন পর সে পাকা ধান ঘরে উঠবে। আবার পাহাড়ের চুড়ায় ঝুম চাষের আগাম ধান পাকায় কৃষক-কৃষাণীরা মেতে উঠেছেন ধান কাঠার উৎসবে। অথচ নানান প্রতিকূল আবহাওয়ায় এবার শঙ্কা ছিল কাঙ্ক্ষিত ফলন না পাওয়ার। তবে কৃষক ও কৃষি অফিস বলছে, বরাবরের মতো এবারও ভালো ফলনই হয়েছে এই রাজস্থলী উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে।

রাজস্থলী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে ৯৪৮ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষ করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯৪৮ হেক্টর। যা গত বছর ছিল ৯১৩ হেক্টর। এর মধ্যে ব্রি ধান-৪৯, পাজাম, দিনাজপুরী পাজাম, ব্রি ধান-৫১, ব্রি ধান-৮৭ সহ অন্যান্য আগাম জাতের ধান আবাদ হয়েছে বলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে। কম সময়ে ফলন এবং কম খরচে এই জাতের ধান চাষ করে সফলতা পেয়েছেন অনেক কৃষক।

তবে মৌসুমের শুরুতে অনাবৃষ্টিসহ প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার দরুন গত বছরের তুলনায় এবারও ৩৫ হেক্টর বেশি জমিতে আবাদ হয়েছে। এরই মধ্যে আবার চিত্রাং এর আঘাতে ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে কিছুটা। সব কাটিয়ে তবু প্রত্যাশার চেয়ে ভাল ফলনের আশাই করছে কৃষক ও কৃষি অফিস।

রাজস্থলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আরিফুর ইসলাম বলেন, আমন মৌসুমে কম সময়ে অধিক ফলন হয়, এমন জাতের ধানের আবাদ বৃদ্ধির জন্য কাজ করছি। চলতি আমন মৌসুমে ১৮০ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে। চিত্রাংয়ের তাণ্ডবে জড়ো কিছু ধানের গাছ নুইয়ে পড়েছিল। তবে এবারও আমরা গতবারের চেয়ে বেশি ফলন পাবো। এবার চাউল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২৬৩১ টন। এবং ধানের লক্ষ্যমাত্রা ৩৯৪৬ টন।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান, প্রতি ইঞ্চি জমি চাষ এ প্রতিপাদ্যকে সকলের সক্রিয় অংশগ্রহণ এর মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে। কৃষক ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর শস্যের নিবিড়তা বৃদ্ধিসহ আগাম ধান কেটে সবজি তেল জাতীয়, ডাল জাতীয় ফসল আবাদ করবে। জমিতে ধান চাষের পর আলু, সরিষাসহ রবিশস্য উৎপাদন করতে পারবে। এটি কৃষকদের বোনাস ফসল। কৃষকের উৎপাদন এবং আয় দুটোই বাড়বে।




আরো






© All rights reserved © outlookbangla

Developer Design Host BD