প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশকে এগিয়ে নিতে সরকার কাজ করছে, অন্যথায় স্বাধীনতার চেতনা ধরে রাখা যাবে না। একটি মহল নানা কথা বলে মানুষকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে বিভ্রান্তের চেষ্টা করছে। দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই উন্নতি সম্ভব হচ্ছে, উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা আর কেউ বন্ধ করতে পারবে না।সোমবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স-২০২২ ও আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স-২০২২ এর গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ কারও কাছে হাত পেতে চলবে না বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে হবে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে আমাকে অপবাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। পরে প্রমাণ হয়, সেখানে কোনো দুর্নীতি হয়নি। পরে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতু করব। আমাকে অনেকে বলেছিল, কখনো সম্ভব না। এমনকি অনেক দেশের সরকার প্রধানের সঙ্গে আলোচনা করেছিলাম, তারা বলেছিল এটা সম্ভব না। অসম্ভবকে সম্ভব করা- এটাই বাংলাদেশের চরিত্র। এটা আমরা করতে পারি।
সরকারপ্রধান বলেন, আমি যখন ঘোষণা দিয়েছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশের, তখন এটা নিয়ে অনেকে হেসেছে, বলেছে সম্ভব নয়। কিন্তু এখন অনেক তরুণ গ্রামে বসে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় অর্থ উপার্জন করছে।এসময় সশস্ত্র বাহিনীর প্রশংসা করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। তিনি বলেন, যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে সশস্ত্র বাহিনী আমাদের পাশে থাকে। তারা মানুষের আস্থা অর্জন করেছে। জাতিসংঘের কাছেও আমাদের পুলিশ, আর্মি অনেক প্রশংসিত।
জ্বালানি সংকটের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধকালীন এই সংকটে অনেক ধনী দেশ জ্বালানি সাশ্রয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে। আমরাও নানা পদক্ষেপ নিই। অথচ জ্বালানি নিয়ে নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে মানুষকে পক্ষে টানা হচ্ছে।দেশের রিজার্ভ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রথমে ক্ষমতায় আসার সময় রিজার্ভ ছিল ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। ২০০৯ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার সময় এটা ছিল ৫ বিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে আমরা তা ৪৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করি।
করোনার সময় যাতায়াত বন্ধ ছিল, আমদানি বন্ধ ছিল; এ জন্য রিজার্ভ কমে যায় বলে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, পরে সব চ্যানেল খুলে গেলে আমাদের আমাদানিতে রিজার্ভ ব্যয় করতে হয়েছে। ভ্যাকসিন কেনা, টিকা গবেষণায় অর্থ দেওয়াসহ করোনা চিকিৎসা সরঞ্জম ক্রয় করতে আমাদের অনেক টাকা লেগেছে। এগুলোর জন্য আমাদের ডলার খরচ হয়েছে।