বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার শাহাদাত আলী জানিয়েছেন, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে রেলের নতুন সময়সূচি আসবে। এ নিয়ে কাজ চলছে। অসময়ে ট্রেন চলাচলের কারণে আয় কম হয়। নতুন সময়সূচিতে তা সমন্বয়ের মাধ্যমে আয় বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে।
রোববার (৪ ডিসেম্বর) রেল ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা জানান।
সরদার শাহাদাত আলী বলেন, হয়তো জানুয়ারির ১ তারিখ থেকে রেলের নতুন সময়সূচিতে ট্রেন পরিচালনা করা সম্ভব হবে না। তবে জানুয়ারি মাসের মধ্যেই নতুন সূচি নির্ধারণের কাজ শেষ হবে৷
এসময় পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, রেলের ২০২৩ সালের সময়সূচি নিয়ে কাজ চলছে। নতুন সূচিতে কীভাবে আয় বাড়ানো যায় সে বিষয়টি দেখা হবে।
তিনি বলেন, গভীর রাতের পরিবর্তে যাত্রীরা কিভাবে সময়মতো ঘরে ফিরতে পারে সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। আবার একই অঞ্চলের ২-৩টি ট্রেন একই দিনে বন্ধ থাকে। সেটা যেন না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখা হবে।
তবে নতুন সময়সূচিতে নতুন কোনো ট্রেন যুক্ত হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পশ্চিমাঞ্চল রেলের এ প্রধান কর্মকর্তা।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, রেলের আয় বাড়ানোর বিষয়টি মাথায় রেখেই নতুন সময়সূচি নির্ধারণ করা হবে। একই সঙ্গে ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় যেন না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখা হবে।
তবে নতুন সূচিতে পূর্বাঞ্চল রেলেও নতুন কোনো ট্রেন যুক্ত হচ্ছে না বলে জানান রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল রেলের এ প্রধান কর্মকর্তা।
রেলের ব্যবস্থাপনার বিষয়ে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক বলেন, রেল স্টেশনগুলোতে যাত্রীদের চাহিদার কথা চিন্তা করে সময় নির্ধারণ করা উচিত। রেলের রুট অনুযায়ী সময়সূচি নির্ধারণ করতে হবে। তা না হলে ট্রেনের যাত্রী বাড়বে না, আয়ও বাড়বে না।