শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:২৫ অপরাহ্ন




এক্সপ্রেসওয়ে: ৪ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা দেবে এডিবি

আউটলুক বাংলা রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময়: বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২২ ১১:১০ am
Dhaka Elevated Expressway Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman Expressway বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকা মাওয়া ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে expressway এক্সপ্রেসওয়ে Elevated Expressway এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ctg এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে elevated Dhaka Elevated Expressway Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman Expressway বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকা মাওয়া ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে এক্সপ্রেসওয়ে Dhaka Elevated Expressway Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman Expressway বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকা মাওয়া ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে expressway এক্সপ্রেসওয়ে এলিভেটেড
file pic

অর্থনৈতিক অঞ্চলের সংযোগ সড়ক উন্নয়নে বাংলাদেশকে ৪০ কোটি ডলার ঋণ দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। প্রতি ডলার সমান ১০৩ টাকা ৬৯ পয়সা ধরে এ ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় বাংলাদেশি মুদ্রায় চার হাজার ১৪৭ কোটি টাকা। ঢাকা-জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ চার লেন সড়ককে ১০ লেনের এক্সপ্রেসওয়েতে উন্নীত করার জন্য এডিবির এ ঋণ ব্যবহার করা হবে।

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) এডিবির ঢাকা কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ‘ইমপ্রুভমেন্ট ঢাকা-জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ রোড ইনটু এক্সপ্রেসওয়ে উইথ সার্ভিস লেইন বোথ সাইড’ প্রকল্প বাস্তবায়নে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) ভিত্তিতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান কোরিয়া ওভারসিজ অ্যান্ড ডেভলেপমেন্ট করপোরেশেন এ সড়কের নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করবে। এটা চার লেনের সড়ক ছিল। এটিকে আরও প্রশস্ত করার পাশাপাশি আরও কিছু কাজ করা হবে। সরকার ও কোরিয়ান কোম্পানি যৌথভাবে এ কাজ করবে।

বর্তমানে ঢাকা-জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ রুটে ৮৭ দশমিক ১৮ কিলোমিটার সড়ক চার লেনে উন্নীত অবস্থায় আছে। প্রকল্পটির আওতায় এ সড়ককে ১০ লেনের আন্তর্জাতিক মানের এক্সপ্রেসওয়েতে উন্নীত করা হবে। এখনকার চার লেনের পাশাপাশি ১০ ফুট প্রশস্ত করে দুই পাশে ব্যারিয়ার দিয়ে ইমার্জেন্সি লেন নির্মাণ করা হবে, যা দিয়ে শুধু অ্যাম্বুলেন্স, নিরাপত্তা গাড়ি, ভিআইপিসহ যে কোনো জরুরি কাজে নিয়োজিত গাড়ি চলাচল করবে।

এরপর আরও ১৮ থেকে ২৪ ফুট করে ধীরগতির যান চলাচলের জন্য দুপাশে আলাদা দুটি করে লেন করা হবে। সব মিলিয়ে একপাশে পাঁচটি সড়ক লেনসহ দুপাশে ১০ লেনের সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। দুপাশের অন্য সড়ক থেকে এক্সপ্রেসওয়ে সড়কে উঠতে ও বের হতে প্রতি ২-৩ কিলোমিটার পর পর আন্ডারপাস ইউটার্ন নির্মিত হবে। এ সড়কটি দেশের ১০টি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অঞ্চলে সংযোগ তৈরি করবে।

বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতি ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধির মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে অর্থনৈতিক এ উন্নয়নকে ত্বরান্বিত ও টেকসই করতে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করে পণ্য রপ্তানি বাবদ অতিরিক্ত চার হাজার কোটি ডলার আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। এ লক্ষ্য অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বেজা)। এরই মধ্যে বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল।

বেজার হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, এখন পর্যন্ত ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়নকাজ শেষ হয়েছে। বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে—বাগেরহাটে মোংলা অর্থনৈতিক অঞ্চল, মৌলভীবাজারে শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চল, নারায়ণগঞ্জে মেঘনা অর্থনৈতিক অঞ্চল, মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোন, আমান অর্থনৈতিক অঞ্চল ও সিটি অর্থনৈতিক অঞ্চল, মুন্সীগঞ্জে আব্দুল মোনেম অর্থনৈতিক অঞ্চল, গাজীপুরে বে অর্থনৈতিক অঞ্চল, চট্টগ্রামে কর্ণফুলী ড্রাই ডক ইকোনমিক জোন এবং কিশোরগঞ্জে কিশোরগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চল।

বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত আরেকটি অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেরপুরে ৩৫২ একর জমির ওপর অবস্থিত শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চল। যার পূর্বে সিলেট, পশ্চিমে হবিগঞ্জ, উত্তরে সুনামগঞ্জ ও দক্ষিণে মৌলভীবাজার জেলা। এ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ছয়টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে ২৩১ একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো সেখানে প্রায় ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা নিয়েছে।

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ১৪২ একর জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে বেসরকারি খাতের আরেকটি অর্থনৈতিক অঞ্চল আব্দুল মোনেম ইকোনমিক জোন। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে চূড়ান্ত লাইসেন্স পাওয়া এ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ১০ কোটি ২০ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার বিনিয়োগ হচ্ছে। আব্দুল মোনেম ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগের মাধ্যমে এরই মধ্যে উৎপাদন শুরু করেছে হোন্ডা মোটরস।

প্রতিষ্ঠানটির হেড অব ফিন্যান্স কমার্শিয়াল শাহ মোহাম্মদ আশেকুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের বিনিয়োগ প্রকল্প বেজার সহযোগিতায় সুন্দর পরিবেশে এগিয়ে যাচ্ছে। বিদ্যুৎ আছে, গ্যাসের জন্যও আবেদন করা আছে। দ্রুতই সংযোগ পাবো বলে আশা করছি। গ্যাস-বিদ্যুৎ সেবা দ্রুত নিশ্চিত করতে পারলে এ অঞ্চলে বিনিয়োগ আরও বাড়বে।

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মেঘনাঘাটে ৬৮ একর জমিতে গড়ে উঠেছে মেঘনা ইকোনমিক জোন। যদিও এজন্য ২৪৫ একর জমি প্রস্তাব করা হয়েছিল। এ অর্থনৈতিক অঞ্চলে এ পর্যন্ত বিনিয়োগ হয়েছে ৯৩ কোটি ৭৬ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। অনুমোদিত শিল্প ইউনিট রয়েছে ১০টি। এরই মধ্যে পেপার অ্যান্ড পাল্প ইন্ডাস্ট্রিজ, কেমিক্যাল প্ল্যান্ট, ডাল ও আটা মিল স্থাপন করা হয়েছে সেখানে।

সোনারগাঁয় মেঘনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠা করা আরেকটি অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোন। প্রায় ৭৬ একর জমিতে গড়ে ওঠা এ অঞ্চলে এ পর্যন্ত ২৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার বিনিয়োগ হয়েছে। এখানে প্রায় সাত হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এরই মধ্যে বেভারেজ, ইস্পাত কারখানা, সিমেন্ট পেপার ব্যাগ উৎপাদন শুরু হয়েছে এ অর্থনৈতিক অঞ্চলে।

‘বে গ্রুপ’-এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘বে ইকোনমিক জোন লিমিটেড’। মোট ৬৫ একর জমিতে গড়ে ওঠা অর্থনৈতিক অঞ্চলটি গাজীপুর-চন্দ্রা মহাসড়কের পাশে গাজীপুর সদর উপজেলায় অবস্থিত। ২০১৭ সালের এপ্রিলে চূড়ান্ত লাইসেন্স পায় এটি। উন্নয়ন ব্যয়সহ এ অঞ্চলে বিনিয়োগের পরিমাণ ৮ কোটি ৮৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার। এ অর্থনৈতিক অঞ্চলে চীনের সরাসরি বিনিয়োগে স্থাপিত হয়েছে খেলনাপণ্য তৈরির কারখানা ‘মেইগো বাংলাদেশ লিমিটেড’। এ কারখানার উৎপাদিত পণ্যই এখন রফতানি হচ্ছে বিদেশে।

সিটি গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সিটি ইকোনমিক জোন লিমিটেড। ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৮১ দশমিক ৮৮ একর জমির ওপর এটি অবস্থিত। এ অর্থনৈতিক অঞ্চলে এখন পর্যন্ত বিনিয়োগ হয়েছে ৬৭ কোটি ৫০ হাজার ডলার।

এডিবি কার্যালয়ের পিপিপি প্রধান এফ. ক্লিও কাওয়াওয়াকি বলেছেন, ঢাকা-জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ ১০ লেনের এক্সপ্রেসওয়েটি আরও প্রদর্শন করবে কীভাবে জলবায়ু সহনশীল অবকাঠামো তৈরি করা যায়। অবকাঠামো তৈরিতে বেসরকারি খাতের উদ্ভাবন, দক্ষতা এবং মূলধনকে কাজে লাগানো আমাদের অন্যতম লক্ষ্য।




আরো






© All rights reserved © outlookbangla

Developer Design Host BD