বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৩৭ অপরাহ্ন




নাসায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

নাসায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

আউটলুক বাংলা রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময়: রবিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২২ ৬:২৬ pm
bangladesh nasa Team Diamonds নাসায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
file pic

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র আয়োজিত ‘নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ-২০২২’ প্রতিযোগিতায় ‘মোস্ট ইন্সপিরেশনাল’ ক্যাটেগরিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশের একটি দল।

‘টিম ডায়মন্ডস’ নামে এ দলটি ১০-১২ বছরের শিশুদের মহাকাশ সম্পর্কে জানাতে ‘ডায়মন্ড ইন দ্য স্কাই’ নামে একটি অ্যাপ বানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা) একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করে।

‘টিম ডায়মন্ডস’ এর সদস্যরা হলেন- টিম লিডার টিসা খন্দকার, ইউএক্স ডিজাইনার মুনিম আহমেদ, সিস্টেম আর্কিটেক্ট ইঞ্জামামুল হক সনেট, অ্যান্ড্রয়েড ডেভেলপার আবু নিয়াজ ও রিসার্চার জারিন চৌধুরী। মেন্টর হিসেবে ছিলেন ড্যাফোডিল আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সফটওয়্যার প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খালেদ সোহেল।

টিম লিডারসহ দলের ৪ জনই ড্যাফোডিল আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সফটওয়্যার প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী, জারিন চৌধুরী নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী।

‘টিম ডায়মন্ডস’ কাজ করেছে শিশুদের জন্য যাতে তারা শৈশব থেকেই মহাকাশ নিয়ে ভাবতে পারে, মহাকাশের অজানা সব তথ্য সহজে বোঝে। মহাকাশে থাকা অজস্র নক্ষত্র, এদের পরিবর্তন সাধারণত খালি চোখে দেখা সম্ভব হয়ে ওঠে না, কারণ এ পরিবর্তনগুলো খুব ধীরে ঘটে। তাদের চ্যালেঞ্জের মূল বিষয়বস্তু ছিল নাক্ষত্রিক এ পরিবর্তন সম্পর্কে শিশুদের শিখতে ও বুঝতে সাহায্য করা যে রাতের আকাশ আসলে কতটা গতিশীল।

টিম লিডার টিসা খন্দকার বলেন, “ডায়মন্ড ইন দ্য স্কাই একটি ইন্টারেক্টিভ গেমভিত্তিক স্পেস লার্নিং সিস্টেম, যার মাধ্যমে শিশুরা নক্ষত্রদের পরিবর্তন (রঙ, উজ্জ্বলতা ও ভর), এর পেছনে লুকিয়ে থাকা কারণগুলো জানতে পারবে। গেমটি খেলার মাধ্যমে তারা নিজস্ব নক্ষত্র তৈরি থেকে শুরু করে নক্ষত্রগুলোর প্যাটার্ন, রঙের পরিবর্তন, উজ্জ্বলতা, ভরের পরিবর্তন অনুভব করতে পারবে। উদ্দেশ্য ছিল মূলত শিশুদের তারার ঝিকিমিকি, রাতের আকাশের ধীরগতি পরিবর্তন এবং কেন ঘটেছিল তা বোঝার সুযোগ দেওয়া।”

স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এ বছর বিশ্বের ১৬২টি দেশ থেকে ২ হাজার ৮১৪টি দল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিল। ন্যাশনাল লেভেল চ্যাম্পিয়ন, গ্লোবাল ফাইনালিস্ট ও ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন- এ তিন পর্যায়ে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের বিজয়ী দলকে থাকা ও অভিজ্ঞতা জানাতে নাসা থেকে শীঘ্র আমন্ত্রণ জানানো হবে ।

‘নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ’ ২০১২ সালে শুরু হওয়া একটি বার্ষিক আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা। গত বছর ‘মহাকাশ’ নামে বাংলাদেশের একটি দল বিজয়ী হয়েছিল ‘বেস্ট মিশন কনসেপ্ট’ ক্যাটেগরিতে।




আরো






© All rights reserved © outlookbangla

Developer Design Host BD