বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলেও এখনই দেশের বাজারে জ্বালানি তেলের দাম না কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘বুঝে-শুনে’ জ্বালানি তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করা হবে।
রোববার (ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিরপুরে মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলোজি (এমআইএসটি) আয়োজিত সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলে দাম কমা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমানে বিশ্ববাজারে তেলের দাম ৭০ থেকে ৮০ ডলারে নেমেছে, তা আবার কালকেই ১২০ ডলারে উঠে যেতে সময় লাগবে না। তাই জ্বালানির দাম আমাদের একটু বুঝে-শুনে নির্ধারণ করতে হবে।
গেল এক সপ্তাহে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামে বড় পতন হয়েছে। অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ১০ শতাংশের ওপরে কমে গেছে। এতে এক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন দামে চলে এসেছে জ্বালানি তেল।
গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়াতে বিতরণ কোম্পানিগুলোর আবেদনের বিষয়ে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) সিদ্ধান্ত নেবে জানিয়ে ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, যার যার নিজের আইন আছে, তারা সে আইন অনুযায়ী জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণ করবে। এখানে সরকারের মনোভাবের কোনো প্রশ্নই আসে না।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিএনপির কমিশন গঠনের দাবিকে নিছক ‘রাজনৈতিক সমালোচনা’ হিসেবে মনে করেন সরকারের এই নীতিনির্ধারক। তিনি বলেন, গত এক যুগে বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতের উন্নয়ন তারা মেনে নিতে পারছেন না বলেই এমন বক্তব্য দিচ্ছেন।
ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, কারো কাছে যদি দুর্নীতির অভিযোগ থাকে, তাহলে দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে সে কাগজপত্র জমা দিতে পারে। রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য মনগড়া মন্তব্য করা হচ্ছে। যা শোভনীয় নয়। বর্তমানে শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে। বিএনপি এ অর্জনকে মেনে নিতে পারছে না।
তিনি বলেন, বিশ্বে ভূ-রাজনীতির বড় হাতিয়ার এখন জ্বালানি। এর ভবিষ্যৎ কী হবে তা আমাদের জানা নেই। তাই জ্বালানির বিকল্প উৎস বাড়াতে হবে। উন্নত বিশ্বের তুলনায় বাংলাদেশের জ্বালানির ব্যবহার কম বিধায় চিন্তা খানিকটা কম। তবে ডলারের সংকটে কিছুটা দুশ্চিন্তা রয়েছে।
এ সময় তিনি দেশের মানুষকে জ্বালানি ব্যবহারে আরো সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানান। এছাড়া বিদ্যুৎ ব্যবহারে অপচয় রোধ করার ওপরও জোর দেন উপদেষ্টা।