জামায়াতে ইসলামীর আমির ডাক্তার শফিকুর রহমানকে আটক করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার ভোর চারটার দিকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে পুলিশ তাকে আটক করে বলে দলটির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে পুলিশের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কেউ কথা বলতে রাজি হননি।
তবে তাকে মিন্টু রোডে পুলিশ কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। কি অভিযোগ বা কোন মামলায় তাকে আটক করা হয়েছে সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সোমবার দিবাগত রাত ১টা থেকে দেড়টার দিকে উত্তরার একটি বাসা থেকে সাদা পোশাক পরিহিত কয়েকজন ব্যক্তি ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাকে তুলে নিয়েছে বলে অভিযোগ করে তার পরিবার।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ জানান, সোমবার রাত ১টা থেকে দেড়টার দিকে উত্তরার একটি বাসা থেকে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান ও তার ব্যক্তিগত সহকারী নজরুল ইসলাম এবং গাড়ির ড্রাইভারকেও নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
শফিকুর রহমান জামায়াতের আমির হিসেবে শপথ নেন বছরতিনেক আগে। রাজধানীর একটি মিলনায়তনে দলের প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম মা’ছুম তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান।
বাঁশের কেল্লা ওয়েবসাইটে তাকে গ্রেফতারের অভিযোগ করা হয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরু হওয়ার পর ব্যাপকভাবে আলোচনাায় আসে এই বাঁশেরকেল্লা ওয়েবসাইট।
শফিকুর রহমানের বাড়ি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায়। তিনি সিলেট মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। একসময় ছাত্রশিবিরের সিলেট শহর শাখার সভাপতি ছিলেন।
এর আগে গত ৯ নভেম্বর জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে জামায়াত আমিরের ছেলে রাফাত সাদিক সাইফুল্লাহকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমানকে পুলিশ আটক করেছে বলে জানিয়েছে দলটি। মঙ্গলবার ভোর রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে পুলিশ তাকে আটক করে। জামায়াত নেতা মতিউর রহমান আকন্দ এ তথ্য জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত পুলিশের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডাক্তার শফিকুর রহমানকে আটকের প্রতিবাদে সাতক্ষীরা, খুলনা ও বরিশালে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। আজ মঙ্গলবার সকালে এ জেলাগুলোতে তাৎক্ষণিকভাবে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা।