বিএনপিকে ২০০৮ সালে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ের নির্বাচনের ফলাফল স্মরণ করিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাদের জিজ্ঞেস করুন, এত যে লাফালাফি, কীসের জন্য? সেই নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে বিএনপি কয়টা সিট পেয়েছিল? মাত্র ৩০টা সিট পেয়েছিল তারা। জাতীয় পার্টি পেয়েছিল ২৭টি সিট। মাত্র ৩টা সিট বেশি পাওয়ায় খালেদা জিয়া লিডার অব দ্য অপজিশন হয়েছিল।
জাতীয় পার্টি আর তিন-চারটা সিট পেলে খালেদা জিয়া বিরোধীদলীয় নেত্রী হতে পারতেন না বলেন উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এটাই হলো বাস্তবতা।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুব মহিলা লীগের সম্মেলনের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ প্রশ্ন রাখেন তিনি। আজ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুব মহিলা লীগে নতুন নেতৃত্বে ঘোষণা করা হয়েছে। সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ডেইজী সারোয়ার, আর সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন শারমিন সুলতানা লিলি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এই ঘোষণা দেন।
২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয়ের কথা উল্লেখ করে দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ওই নির্বাচন নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারে জাতীয়-আন্তর্জাতিক কোনোভাবেই কি ওই নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে? ওঠে নাই। কেউ কোনও প্রশ্ন করে নাই। কারণ, নির্বাচনের ফলাফলটা কী ছিল? নির্বাচনের ফলাফল অনেকেই ভুলে গেছেন।
এখন নির্বাচন নিয়ে বিএনপির কথা বলা নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৬ সালে ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোট নিয়ে নির্বাচন করতে গেলো খালেদা জিয়া। তখন বাংলাদেশের মানুষ সেই ভোট মানেনি।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, স্বাধীনতার ৯ মাস পর বঙ্গবন্ধুর দেওয়া সংবিধানে নারীদের অধিকার দেওয়া হয়েছিল। চাকরির ক্ষেত্রে নারীদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা করে দিয়েছিলেন জাতির পিতা। আমি যুব মহিলা লীগ করে দিয়েছি, সঙ্গে মহিলা শ্রমিক লীগও করে দিয়েছি।
বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতা এলে নারীদের ওপরে নির্যাতন চালায় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ’৭১-এর সঙ্গে মিল রয়েছে তাদের। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নারীদের যেভাবে নির্যাতন করেছিল, সেভাবে নারী নির্যাতন করে বিএনপি। তারা নারীর অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়। আমরা মানুষের জন্য কাজ করি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার পর দেশের মানুষের ভাগ্যে কালো মেঘ নেমে এসেছিল।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ১২টা ৫ মিনিটে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুব মহিলা লীগের তৃতীয় জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও যুব মহিলা লীগের সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। সম্মেলনকে ঘিরে সকাল থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে যুব মহিলা লীগের নেতাকর্মীরা আসতে থাকেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে উপস্থিতির সংখ্যাও। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নেতাকর্মীদের তাদের নেত্রীদের নামে স্লোগান দিতেও দেখা যায়।
আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুব মহিলা লীগে নতুন নেতৃত্ব ঘোষণা করা হয়েছে। সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ডেইজী সারোয়ার, আর সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন শারমিন সুলতানা লিলি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এই ঘোষণা দেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ১২টা ৫ মিনিটে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুব মহিলা লীগের তৃতীয় জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। সম্মেলনকে ঘিরে সকাল থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে যুব মহিলা লীগের নেতাকর্মীরা আসতে থকেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে উপস্থিতির সংখ্যাও। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উপস্থিত নেতাকর্মীদের তাদের নেত্রীদের নামে স্লোগান দিতেও দেখা যায়।
যুব মহিলা লীগের সম্মেলনে সভাপতিত্ব করছেন সংগঠনটির সভাপতি নাজমা আক্তার, সঞ্চালনা করছেন সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল। এর আগে যুব মহিলা লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল ২০১৭ সালের ১৭ মার্চ। সেই সম্মেলনে সভাপতি পদে নাজমা আক্তার এবং সাধারণ সম্পাদক পদে অপু উকিলকে পুনর্নির্বাচিত করা হয়।
জানা যায়, ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রীদের নিয়ে ২০০২ সালের ৬ জুলাই গঠিত হয় যুব মহিলা লীগ। সে সময় ১০১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির প্রধান ছিলেন বর্তমান সভাপতি নাজমা আক্তার, যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল। ২০০৪ সালে যুব মহিলা লীগের প্রথম সম্মেলনে সভাপতি হন নাজমা আক্তার আর সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল। তিন বছর পর সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও দ্বিতীয় সম্মেলন হয় ১৩ বছর পর।