বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২২ পূর্বাহ্ন




বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈতপ্রবাহ; কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা

আউটলুক বাংলা রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময়: শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২২ ১:১১ pm
Mild cold wave cool আবহাওয়া তাপমাত্রা পূর্বাভাস কুয়াশা লঘুচাপ বঙ্গোপসাগর সেলসিয়াস tem Weather আবহাওয়া Rain বৃষ্টি Cold wave শৈত্যপ্রবাহ শৈত্য প্রবাহ Climate Change Conference COP27 winter season temperate climate polar autumn coldest Cold পৌষ মাঘ শীতকাল তাপমাত্রা ঋতু হিমেল হাওয়া হাড় কাঁপুনি সর্দিজ্বর ঠান্ডা Cold wave
file pic

মৃদু শৈতপ্রবাহ কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা। টানা তিনদিনের মতো শনিবারও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

এর আগে শুক্রবার(১৭ ডিসেম্বর) ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বৃহস্পতিবার(১৫ ডিসেম্বর) ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। যা ছিল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মৃদু শৈতপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান বলেন, শনিবার সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সারাদেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এটাই এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। রোববার তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।

এদিকে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের দেখা মিললেও মৃদু হিমেল বাতাসে ঠাণ্ডার প্রকোপ কমেনি মোটেও। ফলে জুবুথুবু অবস্থায় রয়েছে এ জেলার মানুষ। তীব্র শীত ও ঠাণ্ডা বাতাস মিলিয়ে ব্যাহত হচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। তবে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। এলাকার বিভিন্ন মোড় ও চায়ের দোকানের সামনে খড়কুটোয় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে নিম্ন আয়ের মানুষ।

এছাড়া শীতের কারণে ঠান্ডাজনিত রোগও বেড়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন জানান, তীব্র শীতে শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগে হাসপাতালের আউটডোরে প্রচুর রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। প্রতিদিন তিন থেকে চারশ শিশু আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।

রিকশাচালক মাসুম বলেন, পেটের দায়ে বাড়ি থেকে বের হলেও যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। হালকা বাতাসে পুরো শরীর কাঁপছে। এ রকম আরও কয়েকদিন হলে সকালে বের হওয়া যাবে না।

ইউসুফ নামের এক দিনমজুর বলেন, অতিরিক্ত শীতের কারণে ভোরে কাজে যেতে পারিনি। এভাবে ঠান্ডা পড়লে কাজে যাওয়া সম্ভব হবে না।

সাজু নামের এক হোটেল কর্মচারী বলেন, প্রতিদিন সকালে নাশতার জন্য হোটেলে প্রচুর চাপ থাকে। এজন্য ফজরের আজানের পর থেকেই কাজ করতে হয়। ভোরে পানিতে হাত দিলে মনে হয় অবশ হয়ে যাচ্ছে। আঙুলগুলো নাড়ানো যাচ্ছে না। এরপরও পেটের দায়ে কাজ করছি।




আরো






© All rights reserved © outlookbangla

Developer Design Host BD