ইউক্রেনে রাশিয়ার চলমান সামরিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বুধবার (২১ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে দাঁড়িয়ে পুতিনের বাহিনীর বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনের বাখমুতের মতো শহরগুলো দখলের জন্য সব ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করছে মস্কো, কিন্তু সেনারা ফ্রন্টলাইনে অবস্থান করছে এবং কখনও আত্মসমর্পণ করবে না’। জেলেনস্কির বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় করতালিতে স্বাগত জানান কংগ্রেসের আইনপ্রণেতারা।
ভাষণে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, গত বছর (যুদ্ধ শুরুর আগে) বাখমুতে ৭০ হাজার লোক বাস করতো। এখন মাত্র কয়েকজন লোক আছে। ডনবাসের প্রচণ্ড যুদ্ধে ওই ভূখণ্ডের প্রতি ইঞ্চি জমি রক্তে ভিজে গেছে। কিন্তু ইউক্রেন ডনবাসকে এখনও ধরে রেখেছে। মস্কোকে নজিরবিহীন চাপে রাখতে কঠিন থেকে আরও কঠিন নিষেধাজ্ঞা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। এরপরই আইনপ্রণেতারা দাঁড়িয়ে অভিনন্দন জানান।
ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান শুরুর পর এটিই জেলেনস্কির প্রথম কোনও বিদেশ সফর। যুদ্ধ শুরুর পর ইউক্রেন থেকে বের হননি তিনি। সফরে বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এই যুদ্ধে ইউক্রেনকে অভাবনীয় সমর্থন দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাতে তিনি ওয়াশিংটন ডিসিতে সফরে এসেছেন।
এদিকে যুদ্ধকালীন সময় কংগ্রেসে জেলেনস্কির ঐতিহাসিক ভাষণের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন একাধিক মার্কিন আইনপ্রণেতা। সিনেটের নেতা মিচ ম্যাককনেল বলেন, জেলেনস্কির ভাষণ ‘অনুপ্রেরণামূলক’। খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, ইউক্রেনে রাশিয়াকে পরাজিত করতে হবে। সৌভাগ্যবশত আমাদের এমন একজন নেতা আছে, যাকে সবাই দেখে প্রশংসা করতে পারে। বছরের শেষ দিকে তাকে পেয়ে ভালো লাগছে। এক্ষেত্রে সবাই আমরা এক।
এর আগে হোয়াইট হাউজে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেন জো বাইডেন। স্থানীয় সময় বিকালে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে ইউক্রেনের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বাইডেন। জেলেনস্কিকে উদ্দেশ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আপনার সঙ্গে আছি, এটা (যুদ্ধ জয় করতে) যতক্ষণ লাগে’। আমেরিকার সবাই; ডেমোক্র্যাট কিংবা রিপাবলিকান সবাই জানে রাশিয়াকে থামানোটা কেন জরুরি।
সূত্র: সিএনএন