সাগর পথে চট্টগ্রাম বন্দর, আকাশপথে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কিংবা বিভিন্ন অবৈধ পথে আনা ২০ বছর ধরে জব্দ ও বাজেয়াপ্ত করা সোনা নিলামে বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস এবং বাংলাদেশ ব্যাংক।
১৯৮৮ সাল থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে জব্দ হওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকে রক্ষিত বিভিন্ন পরিমাণের সোনা রয়েছে। এসব সোনা জব্দ ও বাজেয়াপ্ত করার সময় ২০০৮ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে ২০ বছর পার করেছে। ৩টি প্যাকেট ও ১৬টি কাঠের বক্সে বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রাম কার্যালয়ের কাস্টডিতে রাখা ছিল এসব সোনা। মোট ১৯টি লটে ২৪০ জনের কাছ থেকে জব্দ করা এসব সোনা থাকলেও পরিমাণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
অন্যদিকে, নিলামে তোলার আগে এসব সোনার দাবিদার রয়েছে কিনা জানতে চেয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস। ২১ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাজিউর রহমান মিয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে নিলামযোগ্য এসব সোনার কোনো দাবিদার থাকলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তিনদিনের মধ্যে লিখিত দাবি জানাতে বলা হয়েছে।অন্যথায় সরকারি নিয়মানুযায়ী নিলামে এসব সোনা বিক্রি করে সরকারি কোষাগারে অর্থ জমা করা হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাজিউর রহমান মিয়া বলেন, বিভিন্ন সময় দেশে অবৈধপথে আনা সোনা উদ্ধার ও জব্দ করে কাস্টমস ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ওইসব সোনা কাস্টমসে না রেখে নিয়মানুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের কাস্টডিতে রাখা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক ওইসব সোনা ২০ বছর পার হওয়ার পর দাবিদার না থাকলে নিলামে বিক্রি করে। এখন ১৯৮৮ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত জব্দ হওয়া সোনা নিলামে বিক্রির জন্য চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সে অনুযায়ী এসব সোনা নিলামের প্রক্রিয়া শুরু করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস।