বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ১২:২৪ অপরাহ্ন




যারা উন্নয়ন চোখে দেখেন না, তারা প্রতিবন্ধী বুদ্ধিজীবী: প্রধানমন্ত্রী

আউটলুক বাংলা রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময়: শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২২ ১২:৫৫ am
Prime Minister Sheikh Hasina Wazed প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা Sheikh Hasina Prime Minister Bangladesh প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা Cabinet Secretary মন্ত্রিপরিষদ hasina pmhasina mp pm-hasina hasina PM hasina quader Obaidul Quader General Secretary of Bangladesh Awami League kader আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের Obaidul Quader Prime Minister Sheikh Hasina Wazed প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা Sheikh Hasina Prime Minister Bangladesh প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা Cabinet Secretary মন্ত্রিপরিষদ hasina pmhasina mp
file pic/ফোকাস বাংলা

যেসব বুদ্ধিজীবী দেশের উন্নয়ন চোখে দেখেন না, তারা ‘প্রতিবন্ধী বুদ্ধিজীবী’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, যাদের চোখ আছে, তারা উন্নয়ন দেখবেন। কিছু প্রতিবন্ধী বুদ্ধিজীবী কোনো উন্নয়ন দেখেন না। যারা উন্নয়ন চোখে দেখেন না, তারা প্রতিবন্ধী বুদ্ধিজীবী। তারা যে কোনোভাবে আওয়ামী লীগ সরকারকে হটাতে চান। গণতান্ত্রিক ধারায় দেশ চললে তারা হতাশ হন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে কিছু প্রতিবন্ধী বুদ্ধিজীবী জামা-কাপড় ইস্ত্রি করে বসেই থাকেন অগণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থার জন্য। কারণ অগণতান্ত্রিক সরকার এলে তাদের কদর বাড়ে। তবে নির্বাচিত সরকার হটিয়ে অনির্বাচিত কাউকে ক্ষমতায় আনলে দেশের কোনো ভালো হবে না।

বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গণভবনে দলের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের শুরুতে স্বাগত বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, যখন আওয়ামী লীগ সরকারে এসেছে, তখনই মানুষের জীবনমান উন্নত হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার নিজেকে জনগণের সেবক মনে করে। বিএনপি-জামায়াতের শাসনামল ছিল জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসের আমল। বিএনপির সময় দুর্নীতিই নীতি হয়েছিল। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস লুটপাট মিলে দেশে আরেকটি কালো অধ্যায় শুরু হয়। বিএনপির রাজনৈতিক ধারাবাহিকতাই ছিল অগণতান্ত্রিক, অবৈধ উপায়ে।

তিনি বলেন, জেনারেলের পকেট থেকেই বিএনপির জন্ম। দেশের মাটি ও মানুষ থেকে এদের জন্ম হয়নি। এরা সবসময় মানুষের ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলে। ২০০১ ও ২০০৬ সালে প্রতিবার তারা ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। ২০০১ সালের নির্বাচনও ছিল গভীর চক্রান্ত। জনগণের ভোট আওয়ামী লীগ পেয়েছিল। কিন্তু ক্ষমতায় বসতে পারেনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে নির্বাচন নিয়ে কারও কোনো অভিযোগ ছিল না। সেসময় বিএনপির সব পছন্দের লোকই ক্ষমতায় থাকার পরও যে দল ৩১টি আসন পায়, সেই দল জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসবে- এটা বিএনপির নেতারা কীভাবে মনে করেন?’

তিনি আরও বলেন, যে দলের নেতারা বিদেশে টাকা পাচারের জন্য শাস্তি পাওয়া, গ্রেনেড হামলায় শাস্তি পাওয়া, তারাই আবার টাকা পাচার নিয়ে কথা বলে বেড়ান। যে দলের নেতারা গ্রেনেড হামলায় সাজাপ্রাপ্ত, দশ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান, মানিলন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িত, জনগণের ভোটে সেই দল ক্ষমতায় যাবে- এ স্বপ্ন তারা কীভাবে দেখে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, মুচলেকা দিয়ে দেশ ছেড়ে এখন বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা আর পাচার করা টাকায় দেশের বিরুদ্ধে বদনাম করা তার (তারেক রহমান) কাজ। দেশের যে টাকা পাচার করে নিয়ে গেছে, এখন সেই টাকা দিয়ে বিদেশে বসে দেশের বদনাম করতে ব্যবহার করছে। বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।

২২তম জাতীয় সম্মেলনের আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে শেষবারের মতো দলের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে বসে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে এ বৈঠক হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন দলীয়প্রধান শেখ হাসিনা।




আরো






© All rights reserved © outlookbangla

Developer Design Host BD