সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৬ অপরাহ্ন




আওয়ামী লীগের সম্মেলন উদ্বোধন করলেন শেখ হাসিনা

আউটলুক বাংলা রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময়: শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২২ ১২:০২ pm
Prime Minister Sheikh Hasina Wazed প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা Sheikh Hasina Prime Minister Bangladesh প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা Cabinet Secretary মন্ত্রিপরিষদ hasina pm
file pic

দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রাচীন দল আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সম্মেলনস্থলে প্রবেশের পর জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। একই সময় দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। একই সময় প্রতিটি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি জাতীয় পতাকা এবং সাধারণ সম্পাদক দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এসময় পরিবেশন করা হয় জাতীয় সংগীত।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লাল-সবুজের জামদানি শাড়ি পরে সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। তার শাড়িতে লাল ও সবুজ রঙের নৌকা বুননের কাজ রয়েছে

জাতীয় সংগীত এর পরপরই আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শান্তির প্রতীক পায়রা এবং রঙিন বেলুন উড়িয়ে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

এর পরপরই তিনি দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে সঙ্গে নিয়ে নৌকা আকৃতির মঞ্চে তার নির্ধারিত আসনে গিয়ে বসেন। নিজের আসনে বসার আগে তিনি মঞ্চে উঠে হাত উচিয়ে সবাইকে অভিবাদন জানান। এসময় শ্লোগানে সম্মেলনস্থল মুখরিত হয়ে ওঠে। এর আগেই কেন্দ্রীয় নেতারা সম্মেলন মঞ্চে তাদের নির্ধারিত আসনে বসেছিলেন।

এর আগেই সম্মেলনস্থলে এসেছেন সারা দেশ থেকে দলটির সাংগঠনিক জেলা-মহানগর শাখার সাড়ে ৮ হাজার কাউন্সিলর এবং ২৫ হাজার ডেলিগেট। সকাল ৭টা থেকে তারা সম্মেলনস্থলে আসতে শুরু করেন তারা। ৮টার পর থেকে দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে সম্মেলনে প্রবেশের প্রতিটি গেটে।

সম্মেলনস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশের জন্য পাঁচটি গেট রয়েছে। এরমধ্যে শিখা চিরন্তনের দিকে গেট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাসহ ভিআইপি অতিথিরা প্রবেশ করবেন। বাকি ৪টি গেট দিয়ে কাউন্সিলরদের প্রবেশ করছেন।

আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন জেলা ও মহানগরের কাউন্সিলর ও ডেলিগেটদের মাঝে কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ১১টা থেকে শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) পর্যন্ত দলীয় সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ কার্ড বিতরণ করা হয়।

বিভিন্ন জেলা থেকে আসা কাউন্সিলর ও ডেলিগেটরা জানিয়েছেন, তারা সম্মেলনটি বিদ্যমান পরিস্থিতির গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় কী বার্তা দেন নেত্রী, সেটা শোনা এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছেন তারা। সম্মেলন শেষে আবার নিজ জেলায় ফিরে যাবেন তারা।

সম্মেলন উপরক্ষে গঠিত মঞ্চ সাজসজ্জা উপ-কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সম্মেলনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিকসহ সবমিলিয়ে লক্ষাধিক লোকের সমাগম হবে। তবে এবার বিদেশের কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। ৫০ হাজার লোকের খাবারের ব্যবস্থাও রয়েছে। ৩০-৩৫ হাজার লোকের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুই শতাধিক শৌচাগারের ব্যবস্থা আছে।

এবারের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো- ‘উন্নয়ন অভিযাত্রায় দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ প্রত্যয়’। সম্মেলনের মঞ্চের দৈর্ঘ্য ৮০ ফিট, প্রস্থ ৪৪ ফিট। আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা ও পদ্মা সেতুর আদলে তৈরি হয়েছে সম্মেলনের মঞ্চ। এর মধ্যে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন ও অগ্রগতির চিত্র রয়েছে।

সম্মেলনের মঞ্চের পেছনের দিকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি রয়েছে সবার উপরে। তারপরেই সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের ছবি শোভা পাচ্ছে। এছাড়াও সোহরাওয়ার্দী, মওলানা ভাসানী, শামসুল হক এবং মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগিশ ও জাতীয় চার নেতার ছবি রয়েছে।




আরো






© All rights reserved © outlookbangla

Developer Design Host BD