দেশের বিদ্যমান সংকট থেকে উত্তরণ ঘটাতে হলে ‘সরকারের পতন ঘটাতে হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। রোববার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় এই মন্তব্য করেন তিনি।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘সারা দেশের মানুষের আজকে মনের কথা হচ্ছে—গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, এদেশের সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার। রাজনীতি, সমাজিক, অর্থনীতি, বিচারব্যবস্থা সব কিছু আজকে ধ্বংস হয়ে গেছে। এর থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘মানুষকে রক্ষা করতে হলে যারা গায়ের জোরে ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে, ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় আছে—তাদের বাংলাদেশের ক্ষমতা থেকে বিদায় করতে হবে। সেই লক্ষ্যে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। তা না হলে আমরা যে সংকটে আছি, তা থেকে মুক্ত হতে পারব না।’
তিনি আরও বলেন, ‘সারা দেশের জনগণের বার্তাকে আমরা একত্রিত করে ১০ দফা দাবি উত্থাপন করেছি। এই সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন ইত্যাদি। এই ১০ দফার একটাই উদ্দেশ্য এই সরকারের হাত থেকে দেশের মানুষকে উদ্ধার করা। অনেকে প্রশ্ন করবেন এর পরে (সরকার বিদায় হলে) পরিবর্তন কী হবে? আপনারা দেখেছেন সেজন্য আমরা রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের জন্য ২৭ দফা প্রস্তাবনা জাতির সামনে উপস্থাপন করেছি।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, এবার আমরা এবং জনগণ শুধু পরিবর্তনের জন্য পরিবর্তন নয়, আরেকটি সরকার এসে আবার এভাবে স্বৈরাচারী শাসন চালাবে তার জন্য নয়, যাতে করে এদেশের সব মানুষের মতো ও তাদের চেতনাকে ধারণ করে একটি সরকার গঠন হবে যে সরকার দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাবে এবং দেশের সংকট ও ধ্বংসপ্রাপ্ত রাষ্ট্র কাঠামোকে মেরামত করবে।’
জাতীয় প্রেস ক্লাবের একাধিকবারের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দিনের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। গত বছরের এই দিনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান। সভায় মরহুম রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের বর্ণাঢ্য জীবনকর্ম তুলে ধরে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
বিএফইউজের সভাপতি এম আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী, শওকত মাহমুদ, এম এ আজিজ, আবদুল হাই শিকদার, কামাল উদ্দিন সবুজ, মুহাম্মদ বাকের হোসাইন, সৈয়দ আবদাল আবদাল আহমেদ, হাসান হাফিজ, কাজী রওনক হোসেন, মোদাব্বের হোসেন, বখতিয়ার রানা, নুর উদ্দিন আহমেদ, বাছিল জামাল, রাশেদুল হক, ইউএনবির সম্পাদক ফরিদ হোসেন, বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রধান প্রতিবেদক মঞ্জুরুল ইসলাম, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ইকনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।