দেশের প্রথম মেট্রোরেল চালাতে বিদ্যুৎ লাগবে; তাই এ ট্রেনে সরবরাহ করা হবে জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ। পাশাপাশি জরুরি সময়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে রাখা হয়েছে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যাটারির ব্যবস্থা।
এ প্রকল্প নির্মাণ ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ঢাকা ম্যাস ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) জানিয়েছে, এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম বা ইএসএস প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে মেট্রোরেলে; চলাচলের সময় ট্রেনের ব্রেকিং সিস্টেম থেকে চার্জ হতে থাকবে ব্যাটারি।
কোনো কারণে কোনো সময় জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়া না গেলে মেট্রোরেলের ইএসএস থেকে বিদ্যুৎ সরাবরাহ করে মেট্রো ট্রেনকে নিকটবর্তী স্টেশনে নিয়ে আসা হবে।
ইএসএস মূলত ব্যাকআপ সিস্টেম, যা ট্রেনের রিজেনারেটিভ ব্রেকিং এনার্জি দিয়ে নিয়মিত চার্জ হতে থাকবে।
মেট্রোরেলের জন্য ইলেকট্রনিক ও মেকানিক্যাল সিস্টেম সরবরাহকারী মারুবেনি-এলঅ্যান্ডটি জেভির কর্মকর্তা রাসোনো তেতসুয়া বলেন, এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম বা ইএসএস সরবরাহ করেছে জাপানি কোম্পানি তোশিবা। অন্যদিকে পাওয়ার ইউপিএসের সরবরাহ এসেছে ফুজি ইলেকট্রিক থেকে।
“ইএসএস ট্রেনের ব্রেক করা থেকে শক্তি গ্রহণ করে এবং অন্য সময়ে ট্রেনের জন্য পুনরায় ব্যবহার করা যায়। এভাবে এক দিকে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে, আবার জরুরি অবস্থায় ট্রেন চালু রাখার জন্যও ব্যবহার করা যাবে।”
ডিএমটিসিএলের তরফে বলা হয়েছে, মেট্রোরেল পরিচালনায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতের জন্য উত্তরা ডিপো এবং মতিঝিল এলাকায় দুটি রিসিভিং সাবস্টেশন থাকবে।
মতিঝিল রিসিভিং সাবস্টেশনে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) মানিকনগর গ্রিড সাবস্টেশন থেকে ১৩২ কেভির দুটি পৃথক সার্কিট; উত্তরা রিসিভিং সাবস্টেশনে পিজিসিবির টঙ্গী গ্রিড সাবস্টেশন হতে ১৩২ কেভির একটি সার্কিট এবং ঢাকা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (ডেসকো) এর উত্তরা গ্রিড সাবস্টেশন হতে ১৩২ কেভির অপর একটি সার্কিটের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পাবে।
উভয় রিসিভিং সাবস্টেশনে ব্যাকআপ হিসেবে একটি করে অতিরিক্ত ট্রান্সফর্মার থাকবে। পুরাতন বিমানবন্দর এলাকায় ডেসকোর ৩৩ কেভি সাবস্টেশন থেকে শেওড়াপাড়া মেট্রো স্টেশনে ৩৩ কেভি বৈদ্যুতিক সংযোগ থাকবে।