প্রবাসীদের বিভিন্ন সেবা গ্রহণ আরও সহজ করতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি কার্ড) জন্য প্রবাসীদের আর দেশে আসতে হবে না। বিদেশে বসেই প্রবাসীরা এনআইডি কার্ড পাবেন।
এ ছাড়া প্রবাসীদের সেবা বাড়াতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল করার প্রস্তাব দিলেও তা এখনও পাস হয়নি। ট্রাইব্যুনাল হলে অনেক সমস্যার সহজেই সমাধান হবে।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটের একটি হোটেলে সিলেট কর অঞ্চল আয়োজিত সেরা করদাতাদের সম্মাননা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রবাসীদের উদ্দেশে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রতিবছর ৩০ ডিসেম্বর প্রবাসী দিবস হিসেবে পালন করা হবে। ইতোমধ্যে মন্ত্রিসভা তা অনুমোদন দিয়েছে। এর মূল লক্ষ্য হবে প্রবাসীদের কথা শোনা ও তাদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা।’
করদাতাদের উদ্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে মাত্র ৮-১০ শতাংশ কর দেন। এটা আমাদের জন্য লজ্জার বিষয়। দেশে করদাতার সংখ্যা কম। জনসংখ্যার তুলনায় মাত্র ৬ শতাংশ মানুষ কর দিচ্ছেন। অথচ নতুন আয়কর বাড়ানোর চেষ্টা কম। আবার আয়কর যারা দেন, তাদেরও বিরক্ত করা হয়।’
মন্ত্রী বলেন, ‘তিন লাখের ওপরে যারা লেনদেন করবেন, বাসাবাড়িতে ভাড়া আদায় করেন, তাদের ওপর ভ্যাট-ট্যাক্স আরোপ করা দরকার। কর না দিলে আমরা কোনো কিছুই প্রত্যাশা করতে পারি না। কর দেব না, অথচ সুবিধা নেব, এটা হতে পারে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই সেখানে আহরিত রাজস্বের অধিকাংশই আসে আয়করের প্রত্যক্ষ কর থেকে। আমেরিকায় আয় ৩ হাজার ডলারের বেশি হলে প্রত্যেককে ট্যাক্স দিতে হয়। আর আইডি পেলেই ট্যাক্স রিটার্ন দিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে সিলেট বিভাগের চার জেলা ও সিসিকের ৩৫ ব্যক্তিকে সেরা করদাতা সম্মাননা দেওয়া হয়।
সিলেট কর অঞ্চলের কমিশনার মো. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমেদ পিপিএম, বাংলাদেশ ট্যাক্স ল-ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি অধ্যাপক মো. শফিকুর রহমান, সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি তাহমিন আহমদ প্রমুখ।