সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৫৩ পূর্বাহ্ন




রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন পেছাচ্ছে: প্রতিমন্ত্রী

আউটলুক বাংলা রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময়: বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২ ৯:০৪ pm
পরমাণু RNPP বিদ্যুৎ Pabna Ruppur Rooppur Nuclear Power Plant PROJECT পাবনা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিউক্লিয়ার ইউরেনিয়াম
file pic

আগামী বছরের ডিসেম্বরে উৎপাদনে আসছে না রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট। এটি ২০২৪ সালের শেষ দিকে উৎপাদনে আসতে পারে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শনের সময় বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এটি জানান বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, করোনা মহামারির কারণে কাজ কিছুটা পিছিয়ে গেছে। এতে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ সময়মতো শেষ করা যায়নি। বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের কাজও শুরু করতে দেরি হয়েছে। তবে সব কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক। কোনো অসুবিধা হবে না। প্রথম ইউনিটের কাজ ৮৭ শতাংশ শেষ হয়েছে।

তবে এর আগে সাংবাদিকদের সামনে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের অগ্রগতি নিয়ে একটু নিবন্ধ উপস্থাপন করেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান অ্যাটমস্ট্রয়এক্সপোর্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট এলেক্সান্দার দেইরি। এতে বলা হয়, জার্মান কোম্পানি সিমেন্স এজি রূপপুরের উপকেন্দ্রের যন্ত্রপাতি সরবরাহে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এতে প্রথম ইউনিট উৎপাদনে আসার সময় পিছিয়ে যাওয়া ঠেকানোর ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দিয়েছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণেই সিমেন্স অস্বীকৃতি জানিয়েছে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

এর আগে গত অক্টোবরে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের পারমাণবিক চুল্লি উদ্বোধনের দিনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেছিলেন, আগামী বছরের মধ্যেই রূপপুরের প্রথম ইউনিট উৎপাদনে আসবে।

রূপপুর প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের বিজ্ঞানী ও প্রকল্পের পরিচালক মো. শৌকত আকবর বলেন, ২০২৪ সালের মাঝামাঝি প্রথম ইউনিটের কাজ শেষ করার প্রক্রিয়া চলছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রূপপুরের কাজে দেরি হচ্ছে কি না, জানতে চাইলে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, সব কাজ ঠিকমতো হবে। বিদ্যুৎ বিভাগ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সমন্বয় করেই কাজ চলছে।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতায় পরমাণু শক্তি কমিশন। ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াটের দুটি ইউনিট নির্মাণ করছে রাশিয়ার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অ্যাটমস্ট্রয়এক্সপোর্ট। খরচ হচ্ছে প্রায় ১ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা। তবে এখন পর্যন্ত রূপপুর প্রকল্পের ব্যয় বা মেয়াদ-কোনোটাই বাড়াতে হয়নি। ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ আছে।




আরো






© All rights reserved © outlookbangla

Developer Design Host BD