বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) ক্রয় প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতা খুঁজে পেয়েছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ফিফা)। এ কারণে তিন কর্মকর্তা সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আবু হোসেন ও অর্থ সহকারী অনুপম সরকারকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
ফিফার মূল আপত্তি বাফুফের ক্রয়সংক্রান্ত বিষয়ে। যেখানে উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করে অন্তত তিনটি প্রতিষ্ঠান থেকে দর নেওয়ার বিধান রয়েছে। নিয়মানুযায়ী সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান কাজ পাবে। বাফুফের ক্রয় প্রক্রিয়ার কাগজ-কলমে তিন প্রতিষ্ঠানকে দেখিয়েছে ঠিকই; কাজ দেওয়া হয়েছে সর্বনিম্ন দরদাতাকে। কিন্তু বিপত্তি বাধে ক্রয় রশিদ ও কোটেশনে। যার একটার সঙ্গে অন্যটার অমিল খুঁজে পেয়েছে ফিফার অডিট কমিটি। কী কারণে এমন হয়েছে, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ এ প্রসঙ্গে বলছেন, ‘এ বিষয়ে কথা বলার এখতিয়ার আমার নেই। আমি যতদূর জানি, বিষয়টা সমাধানের পথে।’ স্থানীয় ফুটবল সংস্থার প্রকিউরমেন্ট কমিটির প্রধান সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহিম। তিনি এ প্রসঙ্গে কথা বলতে নারাজ। প্রবীণ এ সংগঠক বল ঠেলে দিলেন বাফুফে কর্মকর্তাদের কোর্টে, ‘ফুটবল ফেডারেশনের দায়িত্বশীলরা এ প্রসঙ্গে বলতে পারবেন। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।’
বাফুফের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ উঠেছে কর্মচারীদের তিন মাসের বেতন আটকে রেখে সে অর্থ অন্য খাতে ব্যয় করা হয়েছে, যা ফিফার আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। অর্থ কমিটির প্রধান আব্দুস সালাম মুর্শেদীকে এ বিষয়ে পত্র দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বাফুফে সিনিয়র সহসভাপতি ও সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদী আর্থিক কর্মকাণ্ডে আরও কঠোরতা আনার কথা বললেন, ‘প্রকিউরমেন্ট কমিটির পাশাপাশি আরও দুটি কমিটি অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। যাতে অর্থ-সংক্রান্ত বিষয়গুলোতে আরও স্বচ্ছতা থাকে।’
প্রসঙ্গত, বাফুফের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ এটাই প্রথম নয়। অতীতেও নানা অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে নিকট অতীতে ফিফা বাংলাদেশকে বার্ষিক যে অনুদান প্রদান করে, তা স্থগিত করা হয়েছিল।