মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ১২:২১ পূর্বাহ্ন




গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী: বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব কাঁটাতারে বিদ্ধ: ডা. জাফরুল্লাহ

আউটলুক বাংলা রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময়: রবিবার, ৮ জানুয়ারী, ২০২৩ ১২:২৮ am
Gonoshasthaya Kendra Doctor Zafrullah Chowdhury গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী
file pic

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, কাঁটাতারে ঝুলন্ত ফেলানীর লাশ ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীক। শুধু ফেলানীর লাশের ছবি নয়, এই ছবি কাঁটাতারে বিদ্ধ বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব। ছবিটি বাংলাদেশের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি ও রাজনীতিকদের ভারত তোষণনীতির বিরুদ্ধে তীব্র ধিক্কার।

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ফেলানী হত্যা দিবসে সীমান্ত আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে আগ্রাসন প্রতিরোধ জাতীয় কমিটি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। কুড়িগ্রামে ফুলবাড়ী সীমান্তে বিনা উস্কানিতে বিএসএফ বাবার সামনে শিশুকন্যা ফেলানীকে হত্যাসহ সারা বছর সীমান্তে বিএসএফের হাতে নিরীহ বাংলাদেশিদের হত্যার উদ্বেগ জানিয়ে জাফরুল্লাহ বলেন, এই ঘটনা ভারতের আগ্রাসী চরিত্র। ভারতকে সীমান্ত আগ্রাসন, বাংলাদেশি নাগরিক হত্যা ও বাংলাদেশের রাজনীতিতে নগ্ন হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষমতায় টিকে থাকা এবং ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ভারত তোষণনীতির কারণেই সীমান্ত হত্যা ও নির্যাতন বন্ধ হচ্ছে না। বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই ভারত সীমান্ত হত্যা ও নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে সীমান্তে ভারতীয় আগ্রাসন সম্পর্কে সরকারের মন্ত্রীদের বক্তব্য শুনে মনে হয় না তারা বাংলাদেশের মন্ত্রী, মনে হয় তারা ভারতীয় জনপ্রতিনিধি। সভায় মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে সরকার দেশের জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে। সীমান্তে বাংলাদেশি জনগণ স্বাধীন ভূখণ্ডে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা ও কৃষি কাজ করতে পারছে না।

৭ই জানুয়ারি ফেলানীকে হত্যা করে কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলিয়ে রাখা মানে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা। শহীদ ফেলানী দিবসে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি। লিখিত বক্তব্যে এডভোকেট জহুরা খাতুন ফেলানী হত্যাকারী বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের ফাঁসি দাবি করে বলেন, তা না হলে সীমান্ত হত্যা বন্ধ হবে না। বাংলাদেশের নাগরিকদের বিএসএফ বিনা বিচারে হত্যা করে। যা অমানবিক। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অস্ত্র হাতে ভারতীয় বিএসএফ বারবার ঢুকে পড়ে, যা আমাদের সার্বভৌমত্বের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন স্বাধীনতার লঙ্ঘন। ভারতের সঙ্গে চীন, মিয়ানমার, নেপাল, ভুটান, পাকিস্তানের পারস্পরিক সীমান্ত থাকলেও শুধু বাংলাদেশ সীমান্তে তারা অমানবিকভাবে সীমান্ত হত্যা করে। যা খুবই দুঃখজনক, ন্যক্কারজনক মানবতাবিরোধী অপরাধের শামিল।

সভাপতির বক্তব্যে ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, দেশ এখন কঠিন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হুমকিসহ জনগণ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ভারতীয় আধিপত্যবাদী শক্তির একক মদতে বর্তমান একদলীয় সরকার বাংলাদেশকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার দিকে এগিয়ে দিচ্ছে।

আগ্রাসন প্রতিরোধ জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব লায়ন নুরুজ্জামান হীরার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির সমন্বয়কারী মোস্তফা জামাল মজুমদার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আবদুল লতিফ মাসুম প্রমুখ।




আরো






© All rights reserved © outlookbangla

Developer Design Host BD