বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৫:২৯ পূর্বাহ্ন




বিদ্যুতের দাম ইউনিট প্রতি ১ টাকা ২১ পয়সা বাড়ানোর সুপারিশ

বিদ্যুতের দাম ইউনিট প্রতি ১ টাকা ২১ পয়সা বাড়ানোর সুপারিশ: বিদ্যুতের দাম ১৫ শতাংশের বেশি বাড়ানোর সুপারিশ

আউটলুক বাংলা রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময়: রবিবার, ৮ জানুয়ারী, ২০২৩ ৪:৫৫ pm
বিদ্যুৎ loadshedding energy crisis electricity power grid বিদ্যুত বিভ্রাট লোডশেডিং মেগাওয়াট power বিদ্যুৎ বিদ্যুত বিভ্রাট লোডশেডিং মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বিদ্যুৎ loadshedding energy crisis electricity power grid বিদ্যুত বিভ্রাট লোডশেডিং মেগাওয়াট
file pic

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কারিগরি কমিটি প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের খুচরা মূল্য ১ টাকা ১০ পয়সা বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে। সেই হিসেবে খুচরা বিদ্যুতের মূল্য গড়ে ৭ দশমিক ১৩ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৮ দশমিক ২৩ পয়সা করার সুপারিশ করা হলো। এতে গড়ে বিদ্যুতের দাম বাড়তে পারে ১৫ দশমিক ৪৩ ভাগ। এদিকে এই দাম বাড়ালেও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে পারবে না বলে জানিয়েছে বিতরণ কোম্পানিগুলো।

রবিবার (৮ জানুয়ারি) সকাল থেকে রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশনের শহীদ এ কে এম শামসুল হক খান অডিটরিয়ামে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি সংক্রান্ত গণশুনানি শুরু হয়। এই শুনানিতে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের কারিগরি কমিটি এই সুপারিশ করে। শুনানি চলবে বিকাল পর্যন্ত। আজ কোনও কারণে শুনানি শেষ না হলে চলবে আগামীকালও।

শুনানিতে বিইআরসির চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল, সদস্য আবু ফারুক, সদস্য মকবুল ই ইলাহীসহ সদস্য, সঞ্চালন ও বিতরণ কোম্পানির প্রতিনিধিরা উপস্থিত আছেন। শুনানিতে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কথা বললেও মানসম্মত সেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতে পারেনি বিতরণ কোম্পানিগুলো।

শুনানিতে পিডিবির পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রতি টন কয়লার দাম ২৩০ ডলার এবং প্রতি লিটার ফার্নেস অয়েলের দাম ৭০ টাকা হলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়ার ক্ষেত্রে ৪০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি প্রয়োজন হবে। কিন্তু বিআরসি পাইকারি মূল্য বৃদ্ধিতে ১৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি নির্ধারণ করে দিয়েছে। কাজেই এই মূল্য কাঠামো ধরে দাম বাড়ানো হলে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়া সম্ভব হবে না।

গত ২১ নভেম্বর বিদ্যুতের পাইকারি দাম ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বৃদ্ধি করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এরপর বিদ্যুতের খুচরা দাম বৃদ্ধির আবেদন করে বিতরণ প্রতিষ্ঠানগুলো। সবগুলো প্রতিষ্ঠান বলছে পাইকারি দাম বৃদ্ধির পর খুচরা দাম না বাড়ালে তারা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে।

শুনানিতে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) তাদের প্রস্তাবে জানায়, দাম না বাড়লে তাদের ক্ষতি হবে ১১২৭ কোটি টাকা। একইভাবে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) ২৩৪ কোটি, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) ১৫৫১ কোটি, ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির (ডেসকো) ১৪০২ কোটি টাকা, নর্দান ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) ৫৩৫ কোটি টাকা লোকসান হবে বলে দাবি করা হয়েছে। ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) কোনও আর্থিক অংক দাঁড় না করালেও বলছে দাম না বাড়লে তাদের ক্ষতি হবে।

সর্বশেষ ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়।




আরো






© All rights reserved © outlookbangla

Developer Design Host BD