বিএনপির পক্ষ থেকে আবারও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি উঠেছে। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ সম্পর্কে দলের স্থায়ী কমিটিতে আলোচনা হয়েছে। গত চার বছরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ১ হাজার ২০৯টি মামলা দায়ের হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএনপি।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির অবস্থান তুলে ধরেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর আগে মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত ও আলোচনা সম্পর্কে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
বিএনপির মহাসচিব জানান, স্থায়ী কমিটি মনে করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে ভিন্নমত পোষণকারী ব্যক্তি, সংবাদকর্মী, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার ও আটকের মাধ্যমে জনগণের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকারের ওপর চরম আঘাত করা হচ্ছে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। নিরপরাধ ব্যক্তিদের ওপর এই আইনের অপপ্রয়োগের ফলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে।
সভায় অবিলম্বে এই আইনের আওতায় বন্দি ব্যক্তিদের মুক্তি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানানো হয়।
ফখরুল জানান, মুঠোফোন ও ইন্টারনেট যোগাযোগের ওপর নজরদারির জন্য ইসরাইলি এক কোম্পানির কাছ থেকে প্রযুক্তি কেনা হয়েছে বলে দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএনপি। একই সঙ্গে সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর টেলিফোনে আড়িপাতার বিষয়ে আইন প্রণয়নের ঘোষণায়ও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
বিএনপির মহাসচিব জানান, সভা মনে করে, বর্তমান কর্তৃত্ববাদী, অনির্বাচিত সরকার অবৈধ উপায়ে দখল করা ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার লক্ষ্যে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের নজরদারিতে রাখতে সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি ক্রয় ও আড়িপাতার আইন প্রণয়ন করতে চলেছে। এই নিবর্তনমূলক আইন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অগণতান্ত্রিক আচরণ জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ও সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে। সভায় অবিলম্বে এ সব প্রযুক্তি কেনা ও আইন প্রণয়নের অপচেষ্টা থেকে বিরত থাকার আহ্ববান জানানো হয়।