বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন




দেশে প্রথমবার মৃত ব্যক্তির কিডনি অন্যের দেহে প্রতিস্থাপন

আউটলুক বাংলা রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময়: বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২৩ ৪:৫৮ pm
Chronic kidney disease kidneys function filter blood Kidney কিডনি বৃক্ক দেহ প্রতিস্থাপন ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট ক্লিনিক্যালি ডেথ ব্রেইন ডেথ রোগী অঙ্গ রক্ত ছেঁকে বর্জ্য পদার্থ ইউরিয়া পৃথকীকরণ মূত্র উৎপাদন কিডনি
file pic

দেশে প্রথমবার মৃত মানুষের কিডনি অন্যের দেহে সফলভাবে প্রতিস্থাপন (ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট) করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক‌্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) রেনাল ট্রান্সপ্লান্ট সার্জন অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলালের নেতৃত্বে একজন মৃত ব্যক্তির দেহ থেকে নেওয়া দুটি কিডনি দুজনের শরীরে সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) বিএসএমএমইউয়ের জনসংযোগ শাখা থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিএসএমএমইউয়ের জনসংযোগ শাখা থেকে জনা গেছে, ক্লিনিক্যালি ডেথ বা ব্রেইন ডেথ রোগীদের থেকে সাধারণত কিডনি প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়ে থাকে। ১৯৫৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে, এরপর যুক্তরাজ্য থেকে শুরু করে পাশের দেশ ভারত ও শ্রীলঙ্কায় ব্রেইন ডেথ রোগীদের থেকে কিডনি নিয়ে প্রতিস্থাপন করা হলেও বাংলাদেশে আগে কখনো তা করা হয়নি। নতুন এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশে অনেক কিডনি রোগীর জীবন বাঁচানো সম্ভব হবে বলে মনে করেন চিকিৎসকরা।

এ বিষয়ে অধ্যাপক হাবিবুর রহমান বলেন, বিএসএমএমইউয়ে ২০ বছর বযসী এক জেনেটিক ডিজিজে আক্রান্ত রোগীর সার্জারি হয়। সার্জারির পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। যখন বুঝতে পারি সে ব্রেন ডেথের দিকে যাচ্ছে, তখন তার মাকে কাউন্সিলিং করি। তার স্কুল শিক্ষক মা ব্রেন ডেথ মেয়ের দুটি কিডনি ও দুটি কর্নিয়া ট্রান্সপ্লান্টের অনুমতি দেন। আমরা কিডনি দুটি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করেছি। তবে কর্নিয়া দুটি এখনও সংরক্ষিত আছে।

ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট প্রসঙ্গে বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্রেইন ডেথ একজন রোগী থেকে আট জনের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব। ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট অন্যান্য ট্রান্সপ্লান্ট থেকে সহজ। একজন ব্রেইন ডেথ রোগীর দুটি কিডনি দুই জনকে, একটি লিভার একজনকে, দুটি ফুসফুস দুই জনকে, হৃদযন্ত্র একজনকে, অন্ত্র একজনকে, অগ্ন্যাশয় একজনকে দান করে মোট আট জন মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব।

উপাচার্য বলেন, ক্যাডাভেরিকের মতো একটি মহৎ কার্যক্রমকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করতে হবে। এ কার্যক্রম সফল করতে রোগীর পরিবারের সদস্যদের যেমন সহায়তা প্রয়োজন, তেমনি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দানের উৎসাহ দেওয়ার ক্ষেত্রে ধর্মীয় নেতাদেরও এগিয়ে আসতে হবে।

ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্টের কাজে সবার সহযোগিতা কামনা করি। বিশেষ করে গণমাধ্যমের ভূমিকা এখানে অনেক বেশি। গণমাধ্যম যদি ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্টের গুরুত্ব প্রচার করে তাহলে আমাদের কাজ সহজ হবে। জনগণও এতে উপকৃত হবে।

তিনি আরও বলেন, ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। আমরা প্রতি মাসে এক এক ইনস্টিটিউটে আলাদা করে ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট নিয়ে আলোচনা সভা করার আহ্বান করছি। এর ফলে আমরা কেন ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট করবো, কাদের কাছে করবো, ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্টের গুরুত্ব সবাইকে বোঝাতে পারবো।




আরো






© All rights reserved © outlookbangla

Developer Design Host BD