শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৪:৫১ পূর্বাহ্ন




উচ্চমাধ্যমিকে কমলো ৪ লাখ শিক্ষার্থী

আউটলুক বাংলা রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময়: বুধবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২৩ ১০:৪৭ am
ssc class room school college বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ class room school college ক্লাশ রুম স্কুল কলেজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এসএসসি class student পরীক্ষা এইচএসসি পরীক্ষার্থী student ফল ফলাফল file pic class room school college বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ class room school college ক্লাশ রুম স্কুল কলেজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এসএসসি class student পরীক্ষা এইচএসসি পরীক্ষার্থী student ফল ফলাফল file pic
file pic

উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তির তিন ধাপে সারাদেশে ১৩ লাখ ৪৪ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি নিশ্চিত করেছে। গত বছর সাড়ে ১৭ লাখ পরীক্ষার্থী এসএসসি পাস করলেও তিন লক্ষাধিক শিক্ষার্থী উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি প্রক্রিয়ার বাইরে রয়েছে। এর একটি অংশ কারিগরিতে, বিদেশে পড়ালেখাসহ বিভিন্ন বিষয়ে ভর্তি হয়। তার ওপর অনলাইন আবেদন কার্যক্রম শেষ, আবেদন করেও প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষার্থী এ আওতার বাইরে রয়েছে। তার মধ্যে সর্বোচ্চ ফলাফল জিপিএ-৫ পেয়েও ২ হাজার ৮০০ জন রয়েছে, যারা কোনো কলেজ পায়নি। ভর্তির জন্য চেষ্টা করেও ব্যর্থ হওয়ায় সন্তানের পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে অভিভাবকদের মধ্যে। ভালো ফল করে শিক্ষার্থীর মাঝে যে উচ্ছ্বাস কাজ করে তা মলিন হয়ে যায় কলেজে ভর্তির সময়।

দফায় দফায় আবেদন করেও পছন্দের কলেজ না পাওয়ায় অনেকে হতাশ হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে। সে কারণে কেউ কেউ শিক্ষা বোর্ডে অভিযোগ নিয়ে ছুটে আসছেন। ফেব্রুয়ারির শুরুতে চতুর্থ ধাপের ভর্তি কার্যক্রম শুরু করা হতে পারে। এতে বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা পছন্দের কলেজ না পেলেও সরকারের অনুমোদিত আসন শূন্য থাকা কলেজে ভর্তির সুযোগ পাবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে জানা গেছে, উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তিতে প্রথম ধাপে গত ৮ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনলাইন আবেদন চলে। দ্বিতীয় ধাপে ৯-১০ জানুয়ারি, ফল প্রকাশ ১২ জানুয়ারি ও নিশ্চয়ন চলে ১৩ থেকে ১৪ জানুয়ারি। তৃতীয় ধাপের আবেদন ১৬ জানুয়ারি ও ফলাফল ১৮ জানুয়ারি প্রকাশ করা হয়। এ ধাপের নিশ্চয়ন চলে ১৯ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত। তিন ধাপে যারা নিশ্চয়ন করেছে তাদের ২২ থেকে ২৬ জানুয়ারির মধ্যে ভর্তি হতে হবে। ক্লাস শুরু ১ ফেব্রুয়ারি।

জিপিএ-৫ পেয়ে তিন ধাপে আবেদন করেও পছন্দের কলেজে ভর্তির সুযোগ পাননি মুসফিক হাসান। নিজের পড়ালেখা চালিয়ে যেতে এ ছাত্র তার মাকে নিয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে ছুটে এসেছেন। মুসফিক বলেন, জিপিএ-৫ পাওয়ার পর আত্মীয়স্বজনের বাসায় মিষ্টি বিলি করলেও কলেজ ভর্তিতে সেটির মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। তিন ধাপে অনলাইনে আবেদন করেও কলেজ নির্বাচন হয়নি।

ভালো কলেজে যদি ভর্তির সুযোগ না পাই তবে ভালো ফল করে কী লাভ হয়েছে এমন প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, তিন ধাপের আবেদন শেষ হয়েছে। এখন নতুন করে আর ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে কি না তা জানতে এসেছি। কেন আমি তিন দফায় কলেজ পেলাম না সেটি অনেকের কাছে জানতে চাইলেও কেউ উত্তর দিতে পারছেন না।

তার মতো এমন অনেকে সর্বোচ্চ ফল নিয়ে আবেদন করেও ভর্তির জন্য মনোনীত হননি। দূর-দূরান্ত থেকে ঢাকা বোর্ডে ছুটে আসছেন। কারও আবার কম নম্বরেই ভর্তির সুযোগ মিলেছে, বেশি নম্বরধারীরা এসব অভিযোগ নিয়েও বোর্ডে ছুটে এসেছেন। এমন নানা অভিযোগ নিয়ে অভিভাবক-শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন বোর্ডে ছুটে আসছেন।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক আবু তালেব বলেন, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণির তিন ধাপে সারাদেশে ১৩ লাখ ৪৪ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। আবেদন করেও বেশকিছু শিক্ষার্থী কলেজ পায়নি ও কলেজ পেয়েও কেউ কেউ ভর্তি হয়নি তার সংখ্যা ৪০ হাজারের বেশি। সারাদেশে ২২ লাখের মতো উচ্চমাধ্যমিকে আসন রয়েছে। এখনও ১০ লাখের মতো আসন শূন্য। তাই যারা ভর্তি হতে চাইবে সবাই সুযোগ দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, জিপিএ-৫ পেয়েও ২ হাজার ৮০০ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেও ভর্তির বাইরে রয়েছে। অনেক বড় কলেজ সোনার হরিণ মনে করে বারবার সেখানে চয়েজ দেওয়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কোনো কলেজ খারাপ নয়। পরিবারের অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের প্রতি মনোযোগী হলেই সেই শিক্ষার্থী ভালো ফলাফল করবে। বিভিন্ন বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে সফটওয়্যারে আবেদনকারীর কলেজ নির্বাচন করে থাকে। তাই এখানে ভুল হওয়ার সুযোগ নেই। ভর্তি হতে না পেরে কিছু অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। তাদের জন্য নতুন করে সুযোগ দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

শিক্ষা বোর্ড সংশ্লিষ্টরা জানান, একাদশ শ্রেণির ভর্তির তিন ধাপে সারাদেশে ১৩ লাখ ৪৪ হাজার নিশ্চয়ন করা শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রথম ধাপে ১২ লাখ ৭৩ হাজারের মধ্যে প্রায় তিন লাখ শিক্ষার্থী নির্বাচিত কলেজ পেয়েও ভর্তি নিশ্চিত করেনি। দ্বিতীয় ধাপে ৩ লাখ ১৮ হাজারের মধ্যে ২ লাখ ৩৭ হাজার এবং তৃতীয় ধাপে ১ লাখ ১২ হাজারের মধ্যে ১ লাখ ১ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি নিশ্চিত করেছে। গত বছর এসএসসি-সমমান পরীক্ষায় পাস করে প্রায় সাড়ে ১৭ লাখ শিক্ষার্থী। তার মধ্যে জিপিএ-৫ পায় আড়াই লাখের বেশি। প্রতি বছর প্রায় এক লাখ অনিয়মিত (পিছিয়ে পড়া, এক বা একাধিক বিষয়ে ফেল করা) শিক্ষার্থী একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ভর্তি আলাদা হলেও এ স্তরে ১ লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থীর সংখ্যা। সেই হিসাবে এবার প্রায় ৫ লাখ কম শিক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিকে কম ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ শিক্ষার্থী এসএসসি পাসের পর ঝরে গেছে বলেও মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

তবে ঝরে পড়েছে বলে মনে করছেন না ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার। তিনি বলেন, একাদশ শ্রেণিতে প্রতি বছর সারাদেশে ১৫ লাখ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। মোট আসন সাড়ে ২২ লাখের বেশি। এর বাইরে মেডিকেল টেকনোলজি, পলিটেকনিক রয়েছে। কিছু শিক্ষার্থী বিদেশে পড়তে যায়। কেউ কেউ কাজেও যোগ দেয়।

তিনি বলেন, প্রতি বছর মাধ্যমিক পাসের পর উচ্চমাধ্যমিক স্তরে চার থেকে পাঁচ লাখ শিক্ষার্থী কম ভর্তি হয়। এটি একটি স্বাভাবিক চিত্র। শিক্ষার্থী কম ভর্তি হয়েছে এমন মনে করার কারণ নেই। আবেদন করে যারা এখনও ভর্তির বাইরে তাদের জন্য চতুর্থ ধাপে অনলাইনে ভর্তির আবেদন গ্রহণ করা হবে। আগামী ২৮ জানুয়ারি বুয়েটের সঙ্গে সভা করে কবে থেকে চতুর্থ ধাপের ভর্তি কার্যক্রম শুরু করা যায় সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এটি আগামী ১ ফেব্রুয়ারি শুরুর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলেও জানান ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান। [জাগো নিউজ]

#পাস করেছে সাড়ে ১৭ লাখ, একাদশে ভর্তি হয়েছে সাড়ে ১৩ লাখ
#আবেদন করেও একাদশে ভর্তিবঞ্চিত প্রায় ৫০ হাজার
#জিপিএ-৫ পেয়েও কলেজ পায়নি ২৮০০ শিক্ষার্থী
#ফেব্রুয়ারিতে আরেক ধাপে আবেদন
#সারাদেশে এখনও ১০ লাখ আসন খালি




আরো






© All rights reserved © outlookbangla

Developer Design Host BD