তিন বছর আগে দেশে ইলেকট্রিক পাসপোর্ট বা ই-পাসপোর্ট চালু হলেও গ্রাহক ভোগান্তি ও হয়রানি কমেনি। তবে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর সেই ভোগান্তি কমাতে নানা কার্যক্রম শুরু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকায় আরও তিনটি পাসপোর্ট অফিস চালু করা হচ্ছে। আগামী মাসেই রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বছিলায় এবং বনশ্রীতে অফিস চালু হচ্ছে। এরপর মতিঝিলেও রয়েছে অফিস চালুর পরিকল্পনা।
অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, এতদিন রাজধানীর আগারগাঁও, উত্তরা ও কেরানীগঞ্জে রাজধানী ও আশপাশের থানাগুলোর বাসিন্দারা পাসপোর্টের আবেদন জমা দিতে ও পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারতেন। এই তিনটি অফিসে প্রতিদিনই গ্রাহকদের প্রচণ্ড ভিড় হচ্ছে। এজন্য চাহিদামতো সেবা দেওয়া যাচ্ছে না। গ্রাহককে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে আবেদন জমা বা পাসপোর্ট গ্রহণ করতে হচ্ছে। তবে রাজধানীতে নতুন করে তিনটি পাসপোর্ট অফিসে কার্যক্রম চালু হলে ভোগান্তি কমে যাবে।
ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের পরিচালক (ঢাকা বিভাগ) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, মোহাম্মদপুরে ‘আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, ঢাকা-পশ্চিম’ এবং বনশ্রীতে ‘আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, ঢাকা-পূর্ব’ দুটি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কার্যক্রম খুব শিগগিরই চালু হচ্ছে। এসব অফিস থেকে গ্রাহকরা তাদের আবেদন জমা দিতে পারবেন এবং পাসপোর্ট গ্রহণও করতে পারবেন।
এই কর্মকর্তা বলেন, এ দুটি পাসপোর্ট অফিসের কার্যক্রম চালু হলে আগারগাঁও, উত্তরা ও কেরানীগঞ্জে চাপ কমে আসবে। গ্রাহকের দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে এসব অফিসে আসতে হবে না। অনেকটা ঘরের কাছেই মিলবে পাসপোর্ট সেবা।
পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অন্য এক কর্মকর্তা বলেন, মোহাম্মদপুর ও বনশ্রীতে পাসপোর্ট অফিসের সঙ্গে সঙ্গে মতিঝিলেও ঢাকা পূর্বাঞ্চল নামে পাসপোর্ট অফিস চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। এজন্য দিলকুশায় বিমান ভবনের চারতলায় সাড়ে ১০ হাজার বর্গফুটের অফিস দেখা হয়েছিল। তবে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় সেখানে জায়গা পাওয়া যায়নি। এজন্য মতিঝিল এলাকায় নতুন করে ভবনের সন্ধান চলছে। তা পাওয়া গেলে সেখানেও কার্যক্রম শুরু হবে।
পাসপোর্ট অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বিমান ভবনে সরকারি মূল্যে তারা সাড়ে ১০ হাজার বর্গফুট স্পেস ভাড়া নিতে আলোচনা চূড়ান্ত করেন; কিন্তু বিমান কর্তৃপক্ষ সরকারি মূল্যের বাইরে প্রচলিত বাজার মূল্যে ভাড়া দাবি করে। এতে অর্থের অপচয় ঠেকাতে সেখানে পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু করা সম্ভব হয়নি।
ওই সূত্রটি জানায়, ‘আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, ঢাকা-পশ্চিমের কার্যক্রম চালাতে মোহাম্মদপুরের ৬৯৮/৪ বছিলা রোডে সাড়ে ৬ হাজার বর্গফুটের একটি বাড়ি ভাড়া করা হয়েছে। একইভাবে বনশ্রীতেও বাড়ি ভাড়া নেওয়া হয়েছে। এখন অফিস সজ্জাসহ আনুষঙ্গিক কাজ শেষ হলে কার্যক্রম চালু করা যাবে।