শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন




বিশ্বকাপ জয়ের আগের রাতে ও পরে যা করেছিলেন মেসি

আউটলুক বাংলা রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময়: মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২৩ ১১:৩৮ am
Argentine Footballer Lionel Andrés Messi আর্জেন্টিনা তারকা লিওনেল মেসি
file pic

ফাইনালের আগের রাতটি কেমন কেটেছিল লিওনেল মেসির? চাপা উত্তেজনা, শিহরণ, শিরোপা বুভুক্ষ হৃদয়ের হাহাকার, দুঃশ্চিন্তা প্রবলভাবে জেঁকে ধরেছিল কী? শুধু ওই রাতের নয়, তার পরের অনেক বিষয় নিয়ে মনের আগল খুলে দিলেন এই মহাতারকা। জানালেন, ফাইনালের আগের রাতে দারুণ এক ‍ঘুম দিয়েছিলেন তিনি!

কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পর এই প্রথম সাক্ষাৎকার দিলেন মেসি। উরবাঁ প্লে’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্ব জয়ের মুকুট জিততে না পারা সেই দুঃসহ দিনগুলো এবং অবশেষে বিশ্বকাপ জয়ের অনুভূতির কথা বললেন তিনি।

মরুভূমির আসরে আর্জেন্টিনার শুরুটা হয়েছিল ভয়ঙ্কর! পুঁচকে সৌদি আরবের হাতে অঘটনের শিকার হন মেসি-মার্তিনেসরা। সেই ধাক্কা অবশ্য দ্রুত সামলে নেয় আলবিসেলেস্তেরা। একে একে সব বাঁধা পেরিয়ে পৌঁছায় প্রাপ্তির চূড়ায়। ৩৬ বছরের খরার অবসান ঘটিয়ে সাফল্যের বর্ষণে সিক্ত হয় তারা।

এই সাক্ষাৎকারে লুসাইলের ফাইনালের আগের রাতের স্মৃতিচারণ করেছেন মেসি। জানিয়েছেন, স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোক্কুস্সোর সঙ্গে ম্যাচ নিয়ে তেমন কোনো কথাই বলেননি। দিয়েছিলেন দারুণ ঘুম।

“বিশ্বকাপ জুড়ে যা করেছিলাম, ফাইনালের আগের রাতেও তাই করেছিলাম। ঘুমাতে যাওয়ার আগে আমরা গল্প করেছিলাম, কিন্তু ম্যাচের বিষয় কিংবা বিশেষ কোনো কিছু নিয়ে খুব একটা কথা হয়নি। প্রতিটি ম্যাচের আগের দিন যা করতাম, তাই করেছিলাম।”

“সেই একই সব কাজ করেছিলাম আমরা, সবকিছু ছিল ‍খুব শান্ত। খুব ভালো একটা ঘুম দিয়েছিলাম। বিশ্বকাপ জুড়ে আমি খুব রিল্যাক্সড ছিলাম। অনুভব করছিলাম আমরা ভালো আছি, আমিও খুশি ছিলাম, কেননা, বিশ্বকাপ জয়ের জন্য আমরা সবকিছুই করেছিলাম। মনটা ভীষণ শান্ত ছিল। খুব ভালো ঘুম দিতে পারছিলাম।”

ফাইনালে মাঠের লড়াইয়ে শুরু থেকেই আর্জেন্টিনা ছিল জয়ের পথে। কিন্তু শেষ দিকে কিলিয়ান এমবাপের অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্সে দুলে ওঠে সবকিছু। শেষ পর্যন্ত অতিরিক্ত সময় পেরিয়ে শ্বাসরুদ্ধকর টাইব্রেকারে গড়ানো ম্যাচে ফ্রান্সকে হারিয়ে উৎসবে মাতে আর্জেন্টিনা।

জয়ের পর পরিবারের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলোর অনুভূতিও ভাগাভাগি করেছেন মেসি। সমালোচনা তিরে অনুক্ষণ বিদ্ধ হওয়া সেই দিনগুলো পেরুনোর উচ্ছ্বাস, সব মিলিয়ে একটি চক্র পূরণের তৃপ্তি, আর কত কিছু উঁকি দিয়েছিল এই মহাতারকার ভাবনার অলিন্দে!

“মনে হচ্ছিল, এবার কাজ শেষ। সব অপেক্ষার শেষ হলো। রোক্কুস্সো, আমার পরিবার, ওদের জন্য মনে হচ্ছিল অনেকটা সময় অনেক ভোগান্তির মধ্যে যাওয়ার পর ওরা মুক্তি পেল। কেননা, যখন আমি জাতীয় দলের হয়ে ভীষণ ভুগতাম, ব্যর্থতা সঙ্গী হত, ফাইনালগুলো হারতাম, সবসময় পাওয়ার খুব কাছাকাছি এসে সবকিছু হারাতাম…দীর্ঘদিন ধরে আমি সব রকমের সমালোচনা হজম করেছি এবং জানতাম, আমার চেয়েও আমার পরিবারের ভোগান্তি ছিল আরও বেশি।”

“কিন্তু ওরা সবসময় আমাকে দেখাত যে, ওরা ভালো এবং শক্ত আছে, কিন্তু আমি জানতাম, আমাকে যে অন্যায্যভাবে সমালোচনা করা হচ্ছে, যেসব ফুটবল ছাপিয়ে অনেক দূর গড়িয়েছিল, সেগুলোর কারণে ওরা ভেতরে ভেতরে খুব কষ্ট পাচ্ছে। এগুলো আমাকে বিরক্ত করত এবং পীড়া দিত। হ্যাঁ, বিশ্বকাপ জয় ছিল সেই চক্র পূরণের মতো…আমরা কোপা আমেরিকা জিতলাম, বিশ্বকাপ জিতলাম, এই-ই তো। আর কিছু জয়ের বাকি নেই। কাজ শেষ।”




আরো






© All rights reserved © outlookbangla

Developer Design Host BD