রাসেল ডমিঙ্গো পদত্যাগের পর তার উত্তরসূরী হিসেবে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের নাম উঠেছিল। বিষয়টি নিয়ে এতদিন অস্পষ্টতা থাকলেও নিউ সাউথ ওয়েলসের দায়িত্ব ছাড়ার পর হাথুরুসিংহের আসাটা এখন সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে! ধারণা করা হচ্ছে, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি তামিম-সাকিবদের দায়িত্ব নিতে আসবেন তিনি।
ক্রিকইনফোর খবরেও বলা হচ্ছে, হাথুরুসিংহেকেই ফিরিয়ে আনছে বিসিবি। তবে তার আসার বিষয়টি এখনও স্বীকার করেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। সোমবার সিলেটে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনেও হাথুরুসিংহের প্রসঙ্গটি বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এড়িয়ে গেছেন।
২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের কোচ ছিলেন হাথুরুসিংহে। ২০১৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের পর অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরে সম্পর্ক ছিন্ন করা হয় তার সঙ্গে। পরে শ্রীলঙ্কার প্রধান কোচ হিসেবে বাংলাদেশে ফেরেন তিনি।
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকেই বাংলাদেশ নতুন কোচ খুঁজছিল। টি-টোয়েন্টিতে শ্রীধরন শ্রীরামকে রাখা হলেও ওয়ানডে ও টেস্টের জন্য ‘কড়া হেডমাস্টার’ চেয়েছিল বিসিবি। সভাপতি নাজমুল হাসানের প্রথম পছন্দও ছিলেন হাথুরুসিংহে। অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের পর সিডনিতে বিসিবি সভাপতি ও কয়েকজন পরিচালকের সঙ্গে হাথুরুসিংহের বৈঠক হয়েছে। ওই বৈঠকেই তার বাংলাদেশে আসা নিশ্চিত হয়ে যায়।
সোমবার আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানাতে না পারলেও বিসিবি সভাপতি জানিয়েছেন, আগামী মাসের মাঝামাঝিই নতুন কোচ নিয়োগ দেওয়া হবে, ‘আমি তো জানি না (কোচ হাথুরুসিংহে হচ্ছেন কিনা?)। হাথুরু বা অন্য কোনো কোচ তো আমাকে কিছু বলেনি বা বিসিবিকে কিছু বলেনি। নিউজ তো আমি দেইনি। ১৮-২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কোচ চলে আসবে এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। শর্ট লিস্ট আছে, অপশন আছে। আমরা এরমধ্যে থেকে পেয়ে যাবো।’
হাথুরুসিংহের পদত্যাগের ব্যাপারে ক্রিকেট নিউ সাউথ ওয়েলসের ছেলেদের ক্রিকেটের প্রধান মাইকেল ক্লিঞ্জার বলেছেন, ‘ক্রিকেট নিউ সাউথ ওয়েলস ও সিডনি থান্ডারের সঙ্গে গত দুটি বছর চমৎকার অবদান রেখেছেন হাথুরু। তাকে চলে যেতে দেখে আমরা ভীষণ দুঃখিত। কিন্তু আমরা বুঝি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কোচিংয়ের প্রতি তার প্রবল স্পৃহার কথা। তার কোচিং ক্যারিয়ারের পরবর্তী অধ্যায়ের জন্য শুভ কামনা।’
হাথুরুসিংহের বদলে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার ক্যামেরন হোয়াইট নিউ সাউথ ওয়েলসের ব্যাটিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।