বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:৩৯ অপরাহ্ন




আইএমএফের পূর্বাভাস: রিজার্ভ কমে দাঁড়াবে ৩০ বিলিয়ন ডলারে

আউটলুক বাংলা রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময়: বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ ১:৫৮ pm
Dollar রিজার্ভ Per capita income মাথাপিছু আয় Reserves Reserve রিজার্ভ remittance রেমিট্যান্স প্রবাসী আয় ডলার dollar
file pic

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছর শেষে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে দাঁড়াবে ৩০ বিলিয়ন বা ৩ হাজার কোটি মার্কিন ডলারে। তবে আগামী অর্থবছর থেকে ধারাবাহিকভাবে তা বাড়বে। আর ২০২৬-২৭ অর্থবছর শেষে দেশের রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ৫০ বিলিয়ন ডলার বা ৫ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। বাংলাদেশের অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক নিয়ে তৈরি এক প্রতিবেদনে রিজার্ভের বিষয়ে এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।

গত সোমবার রাতে বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করে আইএমএফ। অনুমোদনের পর সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে তাদের বক্তব্য তুলে ধরে। সেখানেই রিজার্ভ নিয়ে এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

ঋণ পরিশোধ; বিদেশ থেকে পণ্য, কাঁচামাল আমদানিসহ আন্তর্জাতিক প্রায় সব ধরনের লেনদেনে রিজার্ভে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবহার করা হয়। ফলে রিজার্ভের পরিমাণ কমে গেলে আমদানি বাধাগ্রস্ত হয়। এতে অর্থনীতির গতি কমে যায়। এ ছাড়া রিজার্ভ কমে গেলে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধেও বিলম্ব হতে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, গত ২০২১-২২ অর্থবছর শেষে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩ হাজার ৩৪০ কোটি ডলার। বর্তমানে তা ৩ হাজার ২৯৫ কোটি ডলারে নেমে এসেছে। আইএমএফ বলছে, চলতি অর্থবছর শেষে রিজার্ভ আরও কমে তিন হাজার কোটি ডলারে নেমে আসবে।

তবে আগামী অর্থবছর থেকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পর্যায়ক্রমে বাড়বে বলেও আভাস দিয়েছে সংস্থাটি। আইএমএফ বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশের রিজার্ভ বেড়ে ৩ হাজার ৪২০ কোটি ডলারে পৌঁছাবে। এর পরের দুই অর্থবছরেও প্রায় ৬০০ কোটি ডলার করে রিজার্ভ বাড়বে। আর ২০২৬-২৭ অর্থবছর শেষে দেশের রিজার্ভ হবে ৫ হাজার ৩১০ কোটি মার্কিন ডলার। অর্থাৎ আগামী ৪ অর্থবছরের মধ্যেই দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ৫০ বিলিয়ন বা ৫ হাজার কোটি ডলারের মাইলফলকে পৌঁছাবে।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক যে পদ্ধতিতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গণনার হিসাব করে, তাতে পরিবর্তন আনার শর্ত দিয়েছে আইএমএফ। বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের অর্থ বিদেশে বিভিন্ন বন্ড, মুদ্রা ও স্বর্ণে বিনিয়োগ করে রেখেছে। আবার রিজার্ভের অর্থে দেশেও তহবিল গঠন করা হয়েছে। রিজার্ভ থেকে ৭০০ কোটি ডলার (৭ বিলিয়ন) দিয়ে গঠন করা হয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল বা ইডিএফ। আবার রিজার্ভের অর্থ দিয়ে গঠন করা হয়েছে লং টার্ম ফান্ড (এলটিএফ), গ্রিন ট্রান্সফরমেশন ফান্ড (জিটিএফ)। বাংলাদেশ বিমানকে উড়োজাহাজ কিনতে রিজার্ভ থেকে সোনালী ব্যাংককেও অর্থ দেওয়া হয়েছে। আবার পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের খনন কর্মসূচিতেও রিজার্ভ থেকে অর্থ দেওয়া হয়। এসব মিলিয়ে এসব তহবিল ও কর্মসূচিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৮ বিলিয়ন বা ৮০০ কোটি ডলার। এর বাইরে শ্রীলঙ্কাকে দেওয়া হয়েছে ২০ কোটি ডলার, যার বিপরীতে সমপরিমাণ শ্রীলঙ্কান রুপি জমা রয়েছে। তাই আইএমএফ বলছে, শুধু ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভকে প্রকৃত হিসাবে দেখাতে হবে। আইএমএফের এ শর্তে সম্মতিও জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।




আরো






© All rights reserved © outlookbangla

Developer Design Host BD