মঙ্গলবার পালিত হবে পহেলা ফাল্গুন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। এ দুই দিবস সামনে রেখে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ফুলের পসরা সাজিয়েছেন দোকানিরা। দোকানে মূলত গোলাপের চাহিদা থাকলেও এর পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে গাঁদা, রজনীগন্ধা, জিপসি, জারবেরা, মাথার ব্যান্ড, চেরি ও গ্লাডিওলাস।
তবে এবার সব ফুল দ্বিগুণ দামে কিনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন ক্রেতারা। আর বিক্রেতারা বলছেন, ফুল পর্যাপ্ত থাকলেও ক্রেতার চাহিদা খুবই কম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৫ থেকে ২০ টাকা দামের একটি গোলাপ বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। এ ছাড়া ৮ থেকে ১০ টাকার রজনীগন্ধা পাওয়া যাচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়, ১৮ থেকে ২০ টাকার গ্লাডিওলাস বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায় ও ৩৫ টাকা দামের গাঁদার মালা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। একইভাবে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে জারবেরা, গজরা ও মাথার ব্যান্ড।
এদিকে উপজেলার পৌর এলাকায় বন্ধন ফুলঘরে ফুল কিনতে এসে দামাদামি করছিলেন মেধা পারভীন নামের এক তরুণী। ফুলের দাম অনেক বেশি এমন অভিযোগ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা একটি গোলাপ ফুল বিক্রি করছেন ৪০ টাকা করে। মানুষের চাহিদা দেখে তারা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এ ছাড়া রজনীগন্ধা, গ্লাডিওলাস, অর্কিড, গাঁদা, বেলী ফুলের মালার দাম অনেক বেশি নিচ্ছে।’
একই অভিযোগ করেন আরেক ক্রেতা লুৎফর রহমান। তিনি বলেন, ‘ভালোবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে ফুলের চাহিদা বেড়ে যায়। আর এই সময়ে চাহিদা বেশি থাকায় বিক্রেতারা ফুলের দাম কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেন।’
দাম বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে সজল ফুলঘরের স্বত্বাধিকারী গোপাল সরকার বলেন, ‘ফুলের দাম বিগত বছরের চেয়ে অনেক বেশি। আমাদের এ অঞ্চলে এসব ফুলের চাষ হয় না। আমরা অনেক কষ্ট করে ঢাকা, যশোর, বগুড়াসহ বিভিন্ন স্থান থেকে ফুল সংগ্রহ করি। অনেক সময় ফুল নষ্টও হয়ে যায়। এ কারণে বিশেষ দিবসগুলোতে একটু বেশি দামে ফুল বিক্রি করে থাকি।’
তিনি বলেন, ‘এবার ক্রেতাদের চাহিদা খুবই কম। তবে পহেলা ফাল্গুন, বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের ক্রেতাদের বড় একটি অংশ স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীরা। এবার যেহেতু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা আছে, তাতে ব্যবসায় কিছুটা লাভের আশা করছি।’