বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৪:৫৪ পূর্বাহ্ন




প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ‘শ্রুতিকটূ ও নেতিবাচক’ নাম বদলাবে: প্রতিমন্ত্রী

আউটলুক বাংলা রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময়: মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ ৬:১২ pm
Primary School pity Physical education assembly paradetraining assemble primary secondary psychomotor play movement exploration health physical fitness Physical education ফিজিক্যাল ট্রেনিং এক্সারসাইজ স্কুল পিটি ক্লাস শারীরচর্চা সমাবেশ examination exam school admission Online Class অনলাইন ক্লাস বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাস classroom class room মাধ্যমিক শ্রেণি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমসিকিউ পরীক্ষা কলেজ স্কুল শিক্ষক প্রাথমিক Directorate of Primary Education primary schools school প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর
file pic

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ‘শ্রুতিকটূ ও নেতিবাচক’ নাম পরিবর্তন করে নতুন নামকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এ বিষয়ে একটি নীতিমালাও জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহের অনেকগুলোর নাম শ্রুতিকটূ ও নেতিবাচক ভাবার্থ সম্বলিত। যা শিশুর রুচি, মনন, বোধ ও পরিশীলিভাবে বেড়ে ওঠার জন্য অন্তরায়।

“এজন্য মন্ত্রণালয় এসব বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে সুন্দর, রুচিশীল, শ্রুতিমধুর এবং স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ স্থানীয় ইতিহাস, সংস্কৃতির সাথে মানানসই নামকরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। গত ২৩ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা জারি করা হয়েছে।”

সম্মেলেন প্রাথিমক বৃত্তির ফলাফল প্রকাশের তারিখ, ‘স্কুল ফিডিং’ প্রকল্প ফের চালু করাসহ সরকারের একগুচ্ছা সিদ্ধান্তের কথা তুলে ধরেন প্রতিমন্ত্রী জকির হোসেন।

তিনি বলেন, চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের ২৫ থেকে ২৮ তারিখের মধ্যে প্রাথমিকের বৃত্তির ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

দেশের দারিদ্রপীড়িত এলাকায় ২০১০ সাল থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোয় ‘স্কুল ফিডিং’ প্রকল্প চালু করে সরকার। ওই প্রকল্পের আওতায় দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝরে পড়া রোধ, ক্লাসে ধরে রাখা এবং শিক্ষার মান বাড়াতে সব শিক্ষার্থীকে দুপুরের খাবার দেওয়া হত। গত বছরের জুনে ওই প্রকল্প বন্ধ হয়ে যায়।

সরকার নতুন করে ‘স্কুল ফিডিং’ প্রকল্পটি শুরু করতে যাচ্ছে জানিয়ে জাকির হোসেন বলেন,”প্রকল্পটি দেশের ১০৪টি উপজেলায় চালু ছিল। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের পুষ্টি ঘাটতি পূরণ, বিদ্যালয়ে শতভাগ ভর্তি.., শিক্ষাচক্র সমাপ্তকরণে প্রকল্পটি কার্যকর ভূমিকা রেখেছে।

“তাই দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল ফিডিং কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে। এবছরের জুনে প্রকল্পটি আবার শুরু হবে।”

এছাড়া সহকারী শিক্ষকদের অনলাইনে আন্তঃউপজেলা ও আন্তঃজেলা বদলির বিষয়টি আগামী সপ্তাহ থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে বলে জানান গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “চলতি বছরের মার্চের মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ের সব শিক্ষকের পাঠ্যক্রম বিস্তরণ সংক্রান্ত এবং বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।”

জাকির হোসেন জানান মার্চ মাসের মধ্যে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ ও বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ টুর্নামেন্ট হবে। কোভিড মহামারীর জন্য এই টুর্নামেন্ট বন্ধ রাখা হয়েছিল।

মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবুবকর সিদ্দিক ও মো. মোশাররফ হোসেন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।




আরো






© All rights reserved © outlookbangla

Developer Design Host BD