ইসলামের পাঁচটি মৌলিক স্তম্ভের মধ্যে যাকাত হচ্ছে তৃতীয়। মহান আল্লাহ রাবুল আলামীন মুসলমানদের জন্য যাকাত আদায় করা ফরজ বা অবশ্যপালনীয় কর্তব্য। হিসেবে ঘোষণা করেছেন। পবিত্র কুরআনের সূরাহ বাকারায় বলা হয়েছে, তোমরা সালাত কায়েম কর ও যাকাত আদায় কর এবং যারা রুকু করে তাদের সাথে রুকু কর। (আয়াত : ৪৩)।
সূরাহ আত-তাওবায় বলা হয়েছে, মুসলিম নর ও নারী একে অপরের বন্ধু; তারা সৎ কাজের আদেশ দেয় এবং অসৎ কাজে নিষেধ করে; সালাত কায়েম করে; যাকাত আদায় করে এবং আল্লাহ ও তার রাসূলের আনুগত্য করে। (আয়াত : ৭১)।
মহানবী (স:) বলেছেন, ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত। আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন মাবুদ নেই এবং মুহাম্মদ (সঃ) আল্লাহর প্রেরিত রাসূল-এ মর্মে সাক্ষ্য দেয়া, সালাত কায়েম করা, যাকাত আদায় করা, শারীরিক ও আর্থিক সামর্থ থাকলে হজ্জ পালন করা এবং রমজান মাসের রোজা রাখা। (বুখারী ও মুসলিম)
রাসূল (সঃ) আরো বলেছেন, আমাদের আদেশ দেয়া হয়েছে সেইসব লোককদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা সাক্ষ্য দেবে যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ (সঃ) আল্লাহর প্রেরিত রাসূল, সালাত কায়েম করে এবং যাকাত আদায় করে। (বুখারী ও মুসলিম)
যাকাতের উদ্দেশ্য
আল কোরআনে সূরাহ তাওবায় বলা হয়েছে : হে রাসূল, আপনি তাদের মালামাল থেকে সাদাকা (যাকাত) গ্রহণ করুন, যাতে তা দিয়ে আপনি তাদের পবিত্র ও পরিশুদ্ধ করবেন এবং আপনি তাদের জন্য দোয়া করবেন। নিশ্চয়ই আপনার দোয়া তাদের জন্য বিরাট প্রশান্তি বিশেষ। আলাহ সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ। (আয়াত:১০৩)।
সূরা মাআরিজে বলা হয়েছে : তাদের (ধনীদের) সম্পদে যাঞ্চাকারী ও বঞ্চিতদের হক (অধিকার) আছে। (আয়াত ২৪-২৫)
আল কোরআনে সূরাহ বাকারায় বলা হয়েছে : যারা আল্লাহর পথে সম্পদ ব্যয় করে, তাদের খরচের দৃষ্টান্ত হচ্ছে একটি শস্য বীজের মত যে বীজ থেকে সাতটি শীষ বের হয় এবং প্রত্যেকটি শীষে একশটি দানা। আল্লাহ যার আমলকে চান এভাবে বাড়িয়ে। দেন। আর আল্লাহ তো সীমাহীন ব্যাপকতার অধিকারী ও জ্ঞানী। (আয়াত: ২১)
রাসূলুল্লাহ (স:) তাঁর সাহাবী মুআজ (রা:)-কে ইয়ামেনের শাসক করে পাঠানোর সময়ে বলেছিলেন: হে মুআজ, তুমি জানিয়ে দিও-আল্লাহ তাদের সম্পদের উপর যাকাত ফরজ করেছেন, যা ধনীদের কাছ থেকে নিয়ে গরীবদের মাঝে বিতরণ করা হবে। (তিরমিযি)
ইসলামের পাঁচটি মৌলিক স্তম্ভের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে যাকাত। যাকাত আদায় ও এর বণ্টন একদিকে যেমন গুরুত্বপূর্ন বাধ্যতামূলক ইবাদাত, তেমনি তা সমাজ থেকে দারিদ্র্য দূর করে ন্যায় ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার কার্যকর একটি উপাদানও বটে। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলমানদের জন্য যাকাত আদায় করা ফরজ বা অবশ্য পালনীয় কর্তব্য হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
পবিত্র কুরআনের সূরাহ বাকারায় বলা হয়েছে, তোমরা সালাত কায়েম কর ও যাকাত আদায় কর এবং যারা রুকু করে তাদের সাথে রুকু কর। (আয়াত : ৪৩)।
যাকাত শব্দের মূল আভিধানিক অর্থ হচ্ছে পবিত্রতা, ক্রমবৃদ্ধি, আধিক্য ও প্রশংসা। যাকাত হচ্ছে বরকত, পরিমাণে বৃদ্ধি পাওয়া, প্রবৃদ্ধি লাভ, পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতা, উদ্ধতা ও সুসংবদ্ধতা। ( ইসলামের জাকাত বিধান : ইউসুফ আল কারজাভী )
ইসলাম ধর্মের বিধান মোতাবেক দরিদ্র মুসলিমদের কল্যাণার্থে ধনী মুসলমানদের জন্য ধন-সম্পদ দান করার অবশ্যপালনীয় ধর্মীয় কর্তব্য আরোপিত হয়েছে। এরূপ অবশ্যপালনীয় কর্তব্যই যাকাত।
যাকাত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট এর ওয়েবসাইট থেকে “যাকাতের বিধিবিধান” বইটি পড়তে পারেন অথবা কল করতে পারেন ০১৭৮৩৫৫৮৮৩৩ নম্বরে সিজেডএম এর ওয়েবসাইট / এন্ড্রয়েড অ্যাপ / ব্যাঙ্ক একাউন্ট ট্রান্সফার / একদেশ অ্যাপ এর মাধ্যমে আপনার যাকাত, সদাকাহ, অনুদান প্রদান করতে পারেন।
সিজেডএম এর ব্যাংক হিসাব নং: ০৩৯১২১০০০১৭৫৬৮, এক্সিম ব্যাংক, হেড অফিস কর্পোরেট শাখা, গুলশান-১, ঢাকা
সিজেডএম এর বিকাশ বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায় ও ট্যাপ এর মোবাইল একাউন্ট: ০১৭২৯ ২৯৬ ২৯৬ (মার্চেন্ট একাউন্ট)
সূত্র: সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্ট (সিজেডএম)