বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:০৭ পূর্বাহ্ন




১২ হাজার আলোকবর্ষ দূর থেকে পৃথিবীতে আসছে সংকেত

আউটলুক বাংলা রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময়: শুক্রবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৩ ১০:৩৭ am
মহাবিশ্ব sky গ্রহাণু Moon Chandra Grahan Sutak timing lunar eclipse চন্দ্র গ্রহণ চন্দ্রগ্রহণ cop কপ গ্রহাণু nasa নাসা satellite space orbit surface solar moon planet কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ গ্রহাণু
file pic

মহাকাশের অজানা দিক নিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছেন গবেষকরা। কখনো গ্যালাক্সির খোঁজ, কখনো নক্ষত্র কিংবা কখনো গ্রহের সন্ধান পেতে টেলিস্কোপে চোখ লাগিয়ে বসে রয়েছেন তারা। বিরাম নেই মহাকাশে পাঠানো যন্ত্র হাবল টেলিস্কোপেরও।

প্রতিদিনই নতুন নতুন তথ্য ও ছবি পৃথিবীতে পাঠিয়েই চলেছে যন্ত্রটি। পাশাপাশি রয়েছে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপও। এর পাঠানো ব্ল্যাক হোলের ছবি সম্প্রতি শোরগোল ফেলে দিয়েছিল বিশ্বে। এই সবের মধ্যেই এবার রেডিও সিগন্যালের সন্ধান পেলেন মহাকাশ গবেষণাকারীরা।

আমরা জানি বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে যেমন নেই কোও জল-হাওয়া-বাতাস, তেমন নেই শব্দও। অথচ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, কিছু সময় পরপর পৃথিবীতে রেডিও সিগন্যাল আসছে। তা যে স্পেস সেন্টার বা পৃথিবী থেকে পাঠানো কোনো যন্ত্র থেকে নয়, সে বিষয়ে তারা নিশ্চিত।

তবে কারা পাঠাচ্ছে এই বেতার-বার্তা? সেই উত্তর খুঁজে চলেছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। রেডিও সিগন্যালের ফ্রিকোয়েন্সি ও পৃথিবীতে আসার সময় হিসাব করে তারা বের করেছেন যে, পৃথিবী থেকে ১২ হাজার আলোক বর্ষ দূরের কোনো গ্রহ কিংবা নক্ষত্র, বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে- এক্সোপ্ল্যানেট বলে সেখান থেকে আসছে এই বেতার বার্তা। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি সেখানেই ভিনগ্রহীদের অস্তিত্ব ও পৃথিবীর বাইরেও প্রাণের স্পর্শের হদিশ মিলতে পারে?

মহাকাশ বিজ্ঞানের ভাষায়, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে যে চৌম্বকীয় ক্ষেত্র (ম্যাগনেটিক ফিল্ড) রয়েছে তা বহির্বিশ্বের ক্ষতিকর রশ্মিকে (এনার্জি পার্টিকল ও প্লাজমা রশ্মি) আটকে প্রাণ বাঁচানোর কাজ করে চলেছে। পাশাপাশি এই ক্ষেত্রটি আছে বলেই রেডিও সিগন্যালও সেই মতো কাজ করে ও বাইরের থেকে এই নিয়মে সংকেত পাঠানো যায়। তবে কি এমন কোনো পৃথিবী মহাকাশে আছে যেখানে প্রাণের স্পর্শ রয়েছে, যারা পাঠাচ্ছে এই রেডিও সিগন্যাল?

গবেষণায় বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, ওয়াইজেড কেটি নামের কোনো নক্ষত্র থেকে নির্দিষ্ট্য সময় পর পর এই শক্তিশালী বেতার বার্তা আসছে। নিউ মেক্সিকোতে বসানো কার্ল জি. জ্যান্সকি নামক শক্তিশালী টেলিস্কোপটি দিয়ে তার খোঁজও চালানো হচ্ছে। যদিও সেই সিগন্যালের অর্থ এখনো অধরাই বলে জানান হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে কলরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের গবেষক সেবেস্তিয়ান পিনেডা বলেন, আমরা একটি প্রাথমিক সিগন্যাল বার্স্ট লক্ষ্য করি। সত্যিই সেটা চমকে দেওয়ার মতো। এরপর বেশ কয়েকবার এই সিগন্যাল আসে যা বুঝিয়ে দেয়, হয়তো কোথাও কিছু একটা রয়েছে।

গবেষকরা আরও জানিয়েছেন, গ্রহ হোক কিংবা নক্ষত্র ম্যাগনেটিক ফিল্ড না থাকলে এমন শক্তিশালী রেডিও সিগন্যাল পাঠানো অসম্ভব। যেহেতু একাধিকবার সিগন্যাল পৃথিবীতে এসে পৌঁছেছে তার সঠিক অবস্থান ও উত্তর পেতে মরিয়া মহাকাশ গবেষকরাও।




আরো






© All rights reserved © outlookbangla

Developer Design Host BD