শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২২ অপরাহ্ন




বাজেট প্রস্তাবে থোক বরাদ্দের ওপর কড়াকড়ি আরোপ

আউটলুক বাংলা রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময়: সোমবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৩ ১০:৪৩ am
দাম বাড়বে কমবে Budget বাজেট Inflation মূল্যস্ফীতি index dse cse ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ডিএসই Dhaka Stock Exchange চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ Chittagong Stock Exchange dse cse ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ডিএসই Dhaka Stock Exchange চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ Chittagong Stock Exchange শেয়ারবাজার dse ডিএসই Share point সূচক অর্থনীতি economic দরপতন dse ডিএসই শেয়ারবাজার দর পতন পুঁজিবাজার CSE BSEC share market DSE CSE BSEC sharemarket index discrimination সূচক market down
file pic

বাজেটে থোক বরাদ্দের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।এর ফলে এখন থেকে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো বাজেটে রাখার জন্য কোনো থোক বরাদ্দের প্রস্তাব দিতে পারবে না।এমনকি বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাবও করা যাবে না। সম্প্রতি অর্থ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে।

জারিকৃত বাজেট পরিপত্র-২-এ মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামো পদ্ধতির আওতাভুক্ত সব মন্ত্রণালয়/বিভাগকে আগামী ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বিস্তারিত বাজেট প্রাক্কলন এবং একই সঙ্গে ২০২৪-২০২৫ ও ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের প্রক্ষেপণ প্রণয়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বলা হয়েছে, বাজেট প্রাক্কলন ও প্রক্ষেপণে সাধারণভাবে বাজেটে কোনো রকম থোক বরাদ্দ প্রস্তাব করতে পারবে না মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো। অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে সরকারের কৌশলগত উদ্দেশ্য অর্জনে সহায়ক হয়, তেমন সুনির্দিষ্ট কার্যক্রমের বিপরীতে অর্থ বরাদ্দ দিতে হবে।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, সব মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো প্রণীত বাজেট কাঠামো ইতোমধ্যে অর্থ বিভাগ, পরিকল্পনা কমিশন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অনুষ্ঠিত ত্রিপক্ষীয় সভায় পর্যালোচনা করা হয়েছে। ওই সভার পর্যবেক্ষণের আলোকে একটি সম্মত বাজেট কাঠামো প্রণয়নের কাজ চলমান রয়েছে। মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামো পদ্ধতিতে বাজেট প্রণয়নের দ্বিতীয় পর্যায়ে মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে ত্রিপক্ষীয় সভায় সম্মত রাজস্ব ও প্রাপ্তির লক্ষ্যমাত্রা এবং ব্যয়সীমার আলোকে বিস্তারিত বাজেট প্রাক্কলন ও প্রক্ষেপণ প্রয়োজনে সংশোধন ও পুনঃনির্ধারণ করতে হবে। সংশোধিত বাজেট প্রস্তাব আগামী ২৭ এপ্রিলের মধ্যে আইবাস++ এ অন্তর্ভুক্তি সম্পন্নকরণ এবং হার্ডকপি অর্থ বিভাগের বাজেট অনুবিভাগ (১ ও ২), পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগ, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট বিভাগে জমা দিতে হবে।

এছাড়াও বলা হয়েছে, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের পরিচালন ও উন্নয়ন ব্যয়ের প্রাক্কলন এমনভাবে তৈরি করতে হবে যেন তা মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও প্রতিষ্ঠানগুলোর ‘বাজেট ব্যবস্থাপনা কমিটি’ কর্তৃক অনুমোদিত ব্যয়সীমার মধ্যে সঙ্কুলানযোগ্য হয়। ত্রিপক্ষীয় সভায় আলোচনার ভিত্তিতে যে ব্যয়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে, ওই ব্যয়সীমা সর্বোচ্চ বরাদ্দ এবং এ বরাদ্দ বৃদ্ধির কোনো অবকাশ থাকবে না।

আগামী ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বিস্তারিত বাজেট প্রাক্কলনের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়/বিভাগগুলোকে চারটি নীতি অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- প্রথমতঃ মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামোতে বর্ণিত কৌশলগত উদ্দেশ্য এবং অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০২০-২০২৫), দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০২১-২০৪১) ও মন্ত্রণালয়/বিভাগের নিজস্ব নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত সরকারের নীতি ও অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কার্যক্রম পরিচালনা এবং মধ্যমেয়াদি লক্ষ্যমাত্রাগুলো অর্জনে সক্ষম হয়।

দ্বিতীয়ত: বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে সরকারের মৌলিক নীতিনির্ধারণী দলিলগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দারিদ্র্য নিরসন সহায়ক বরাদ্দ বাড়াতে সক্ষম হয় এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে প্রদেয় সেবার মান ও পরিমাণ বাড়ে।

তৃতীয়ত: জিডিপি প্রবৃদ্ধির সঙ্গে ব্যয় বাড়ার সামঞ্জস্য রাখা, যাতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর বর্তমান কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা যায়।

চতুর্থত: মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর বাজেট বরাদ্দের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব হয়। উন্নয়ন ব্যয়ের প্রাক্কলন/প্রক্ষেপণের ক্ষেত্রে ‘অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ’ কর্তৃক আগামী তিন বছরের জন্য বৈদেশিক সহায়তার যে প্রক্ষেপণ প্রণয়ন করা হয়েছে, সে অনুযায়ী প্রকল্প সাহায্য ও পুনর্ভরণযোগ্য প্রকল্প সাহায্যের প্রতিফলন নিশ্চিত করতে হবে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির প্রাক্কলন/প্রক্ষেপণ প্রণয়নে ত্রিপক্ষীয় সভায় নির্ধারিত মানদণ্ডের ভিত্তিতে প্রকল্পওয়ারি বরাদ্দ পর্যালোচনা এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে পুনঃনির্ধারণ করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য প্রদত্ত মোট এডিপি ব্যয়সীমা কোনোভাবেই অতিক্রম করা যাবে না। প্রদত্ত ব্যয়সীমার মধ্যে প্রকল্প সাহায্য (ডিপিএ/আরপিএ), নগদ বৈদেশিক মুদ্রা ইত্যাদি বাবদ ব্যয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এক্ষেত্রে প্রকল্প সাহায্য, নগদ বৈদেশিক মুদ্রা ইত্যাদি ব্যয় বিবেচনা করে প্রকল্পের প্রাক্কলন/প্রক্ষেপণ তৈরি করতে হবে। এ বাবদ ব্যয়সীমার অতিরিক্ত কোনো অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হবে না।

সরকারি অনুদানে পরিচালিত স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলোর বরাদ্দ নির্ধারণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংস্থার চলতি অর্থবছরের নিজস্ব আয় ও আয়ের উৎসগুলো পর্যালোচনা করতে হবে। ত্রিপক্ষীয় সভায় সম্মত প্রাক্কলিত ও প্রক্ষেপিত আয় সংশ্লিষ্ট অর্থবছরে দেখাতে হবে। নিজস্ব আয়ের অর্থ বাদ দিয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থার জন্য ব্যয়সীমা/সরকারি অনুদানের পরিমাণ নির্ধারণ করে তার ভিত্তিতেই বিস্তারিত অর্থনৈতিক কোড অনুযায়ী বাজেট প্রাক্কলন ও প্রক্ষেপণ প্রণয়ন করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।




আরো






© All rights reserved © outlookbangla

Developer Design Host BD