পানিবাহিত রোগের প্রকোপ ক্রমেই বাড়ছে। পুরো পৃথিবীতেই নিরাপদ পানির সংকট নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। নিরাপদ পানির সংকট থেকেই সবার মনে চিন্তা কাজ করে। অনেকেই বাড়িতে ফিল্টার ব্যবহার করে। কিন্তু সবসময় ফিল্টারে নির্ভর করা যায় না। সেক্ষেত্রে পানি নিরাপদ রাখার উপায় কি? শহুরে জীবনে অনেকেই এসব জানেন না। তাদের জন্যই এই লেখাটি।
পানি ফুটিয়ে নিন
অনেকের বাড়িতে এখনো পানি ফুটিয়ে নেয়ার চল আছে। আবার অনেকে পানির স্বাদ বদলে যাবে ভেবে ফুটান না। কিন্তু পানি নিরাপদ করতে হলে ফুটিয়ে নেয়াটাই সবচেয়ে নিরাপদ। পানি ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ফুটিয়ে নিতে হবে। ফুটন্ত অবস্থায় ২-৩ মিনিট রাখতে হবে। তারপর পানি ঠাণ্ডা করে পরিষ্কার পাত্রে রাখতে পারেন। সিলভার কিংবা মাটির পাত্রতে রাখতে পারলে ভালো হয়।গরমে প্রাণ জুড়াতে চাই ফলের শরবতগরমে প্রাণ জুড়াতে চাই ফলের শরবত
ফিল্টারিং পদ্ধতি
ছাঁকনের মাধ্যমেও পানি নিরাপদ করা যায়। অনেকেই গ্যাসের অপচয়ের কথা ভেবে ফুটাতে পারেন না। তাদের জন্য ছাঁকন একটি ভালো পদ্ধতি। ছাঁকন ভৌত কিংবা রাসায়নিক দুই উপায়েই করা যায়। সবচেয়ে ভালো কথা, ছাঁকন পদ্ধতিতে পানির অপচয় হয় না। বাজারে ছাঁকনের জন্য নানা ফিল্টার পাওয়া যায়।
ক্লোরিনেশন
ফিল্টারও যদি আপনার পছন্দ না হয় আবার ফুটিয়ে খাওয়াটাও সমস্যা, তাহলে ক্লোরিনেশন আপনার শেষ ভরসা। ক্লোরিন একটি রাসায়নিক উপাদান যা পানির মধ্যস্থিত জীবাণু, পরজীবী বা অন্যান্য অণুজীব মেরে ফেলে। ক্লোরিন ট্যাবলেট বাজারেই কিনতে পাওয়া যায়। দাম খুব বেশি না। কাজও করে। তবে থাইরয়েডের সমস্যা যাদের আছে তাদের জন্য ক্লোরিনেশন ভালো না-ও হতে পারে। এজন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়াই বিবেচকের মতো কাজ হবে।