রেডিমেড ‘পোশাক পল্লী’ হিসেবে পরিচিত মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার সিপাহিপাড়া ও শাঁখারিবাজার এলাকা। এখানে রয়েছে সহস্রাধিক পোশাক তৈরির কারখানা। এসব কারখানায় প্রায় ৫০০ কোটি টাকার পোশাক বিক্রির টার্গেট রয়েছে। এজন্য ঈদকে সামনে রেখে পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন এ পল্লীর কারিগররা।
সরেজমিনে মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) দেখা গেছে, এ গ্রামের প্রতিটি বাড়ি যেন এক একটি ক্ষুদ্র গার্মেন্টস। ঈদকে সামনে রেখে এখানে প্রায় প্রতিটি ঘরেই এখন বাহারি রঙের পোশাক তৈরি হচ্ছে রাতদিন। একদিকে পোশাক তৈরি হচ্ছে, অন্যদিকে সেসব চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়।
এখানে তৈরি পোশাক ঢাকার সদরঘাট, কেরানীগঞ্জের কালীগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার বড় বড় পাইকারি মার্কেট হয়ে চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শহর ও শহরতলির বিপণি-বিতানে।
মুন্সীগঞ্জের এই পোশাক পল্লীতে আধুনিক প্রযুক্তির কম্পিউটারাইজড অ্যামব্রয়ডারি মেশিনে করা হচ্ছে নানা রকম নান্দনিক কারুকাজ। পোশাককে বর্ণিল করতে কারিগররা নিপুণ হাতে যুক্ত করছেন রং-বেরঙের লেছ ও পুঁথি। কাপড় কাটা, সেলাই, ডিজাইনে এখন দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা।
মুন্সীগঞ্জ বিসিকের উপ-ব্যবস্থাপক মো. আব্দুল্লাহ জানান, এই পোশাক পল্লীগুলোতে অন্তত ৩০ হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। এ ধারাটি অব্যাহত থাকলে এক সময় আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও এর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়বে। রমজানের ঈদ ঘিরে এখানকার সহস্রাধিক ক্ষুদ্র কারখানায় প্রায় ৫০০ কোটি টাকার পোশাক বিক্রির টার্গেট রয়েছে। সারা বছরে সেই বিক্রির টার্গেট ছাড়িয়ে যায় হাজার কোটি টাকা।