নির্বাচনের খবর সংগ্রহে মোটরসাইকেলের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ সদ্য প্রণীত নীতিমালা বাতিল করে সাংবাদিক সহায়ক নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)।
বুধবার (১৩ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে ডিআরইউ‘র কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সভাপতি মুরসালিন নোমানী ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল এই দাবি জানান।
ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ বলেন, এর আগে ২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল ব্যবহারের জন্য স্টিকার ইস্যু না করার হঠকারী সিদ্ধান্ত নেয় তৎকালীন নির্বাচন কমিশন। তবে ডিআরইউসহ সাংবাদিক সমাজের প্রতিবাদের মুখে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে কমিশন।
ডিআরইউ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, সাংবাদিকদের সাথে কোন ধরণের আলোচনা ছাড়াই মোটরসাইকেল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত সাংবাদিকতা বিরোধী নীতিমালা প্রণয়ন করেছে ইসি। যা মুক্ত সাংবাদিকতার পরিপন্থি। সংবাদ সংগ্রহে মোটরসাইকেলে নিষেধাজ্ঞা সাংবাদিকতা নিয়ন্ত্রণ করার শামিল বলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মনে করে। সাংবাদিকদের পেশাগত কাজে সহযোগিতা করা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব, কারণ দেশ ও জাতির উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য পেশাদারিত্ব অক্ষুন্ন রেখে সাংবাদিকরা কাজ করে যাচ্ছেন। নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহে ইসি কর্তৃক যে নীতিমালা প্রণয়ন করেছে তা প্রত্যাখান করছে ডিআরইউ।
ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, অবিলম্বে প্রণীত নীতিমালা বাতিল করে সাংবাদিক সংগঠন সমূহের সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সাংবাদিক সহায়ক নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। নতুবা সাংবাদিকরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ মার্চ আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের জন্য সমন্বিত নীতিমালার খসড়া নিয়ে ইসি বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন ‘রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির (আরএফইডি) নেতৃবৃন্দ ও সিনিয়র সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করে নির্বাচন কমিশন। তবে মতবিনিময়কালে খসড়াটি সাংবাদিকদের সরবরাহ করা হয়নি। বিষয়টি নজরে আনা হলে পরে সরবরাহ করা হবে এবং আলোচনা করে এটি চূড়ান্ত করা হবে বলে জানানো হয়। কিন্তু খসড়াটি সরবরাহ না করেই এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো রকম আলোচনা ছাড়াই এই নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়। গতকাল বুধবার দুপুরের দিকে নীতিমালাটি জারি করে ইসি। এতে ইসির নির্দেশনা পালন না করলে সাংবাদিক ও তার নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়।