যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের বক্তব্যে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যমান সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন। তিনি বলেন, আমি এটা মনে করি না। আমরাতো মিটিং করে আসলাম। আমরা আমাদের যেসব এজেন্ডা ছিল, সবকিছু সুন্দরভাবে আলোচনা করে আসছি।
জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আনা ১৪৭ বিধির সাধারণ প্রস্তাব ও অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমেরিকা চাইলে যেকোনও দেশের ক্ষমতা উল্টাতে-পাল্টাতে পারে। সরকার প্রধানের এমন মন্তব্যে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা পর ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। বঙ্গবন্ধুকন্যার যুক্তরাষ্ট্রকে বিষয়ক মন্তব্যের দু’দিন আগে সরকার প্রধানের তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা শেখ হাসিনা তনয় সজীব ওয়াজেদ জয় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরকে ‘ভণ্ডদের আখড়া’ বলে মন্তব্য করেন।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও বাহিনীর সাত জ্যৈষ্ঠ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার নিয়ে ল’ ফার্ম নিয়োগের অগ্রগতি বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বলেন, নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আলোচনা চলমান রয়েছে। এটি একটি প্রক্রিয়া। আমরা প্রত্যাশা করি যে রাষ্ট্র এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, তারা প্রসেসটাকে দ্রুত এগিয়ে নেবে এবং আমরা খুব দ্রুত একটা সিদ্ধান্ত পাব। ল’ ফার্ম নিয়োগের বিষয়ে মন্ত্রণালয় এবং মার্কিন দূতাবাস কাজ করছে।