খাতে শিল্প স্থাপন, পণ্য উৎপাদন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জাতীয় আয় বৃদ্ধিসহ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৪৪ জন ব্যবসায়ীকে বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা সিআইপি নির্বাচিত করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়। সিআইপি (শিল্প) নীতিমালা অনুযায়ী ২০২১ সালের জন্য ছয়টি ক্যাটাগরিতে তাঁদের সিআইপি হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। সম্প্রতি শিল্প মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক গেজেটে শিল্প খাতের সিআইপিদের তালিকা প্রকাশ করা হয়।
এতে বলা হয়েছে, সিআইপি নির্বাচিত ব্যক্তিদের শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে একটি পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে তাঁরা আগামী এক বছরের জন্য জাতীয় ও সিটি করপোরেশনের অনুষ্ঠানে নাগরিক সংবর্ধনায় দাওয়াত, ব্যবসাসংক্রান্ত কাজে ভ্রমণের সময় বিমান, রেলপথ, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকার পাবেন। বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের সুবিধা পাবেন। স্ত্রী, সন্তান ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে বিশেষ সুবিধা পাবেন। এ ছাড়া সরকারের শিল্পবিষয়ক নীতিনির্ধারণী কমিটিতে তাঁদের অন্তর্ভুক্ত করা যাবে।
ন্যাশনাল কাউন্সিল অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট বা এনসিআইডি মনোনীত সিআইপি হয়েছেন এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি কামরান তানভিরুর রহমান, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি রুপালী হক চৌধুরী, বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি একেএম সেলিম ওসমান এবং বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী।
এ ক্যাটাগরিতে সিআইপি হয়েছেন স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা অংশীদার এরিক এস চৌধুরী, বিএসআরএম স্টিলের চেয়ারম্যান আলী হুসাইন আকবর আলী, প্রাণ ডেইরির চেয়ারম্যান মো. ইলিয়াস মৃধা, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোবারক আলী, জাবের অ্যান্ড জুবায়ের ফেব্রিক্সের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জাবের, এসিআইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আরিফে দৌলা, পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল মোনেম লিমিটেডের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এএসএম মাঈনউদ্দিন মোনেম, ফারিহা নিট টেক্সটাইলের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মামুন ভূঁইয়া, স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী, হ্যামস গার্মেন্টেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সফিকুর রহমান, বাদশা টেক্সটাইলের উদ্যোক্তা পরিচালক কামাল উদ্দিন আহাম্মদ, মীর সিরামিকের পরিচালক মাহরীন নাসির, ডিউরেবল প্লাস্টিকের পরিচালক উজমা চৌধুরী, রানার অটোমোবাইলের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান, উইনার স্টেইনলেস স্টিল মিলসের চেয়ারম্যান মো. সোহেল রানা, তাসনিয়া ফেব্রিক্সের উদ্যোক্তা পরিচালক আহমেদ আরিফ বিল্লাহ, সোহাগপুর টেক্সটাইলস মিলসের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সিকদার, এনভয় টেক্সটাইলসের চেয়ারম্যান কুতুবউদ্দিন আহমেদ এবং কনফিডেন্স পাওয়ার হোল্ডিংসের ভাইস চেয়ারম্যান ইমরান করিম।
এ বিভাগে নির্বাচিত হয়েছেন এসটিএস হোল্ডিংসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার মনির উদ্দীন, এসবি টেল এন্টারপ্রাইজেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতিকুর রহমান, কনকর্ড রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান এসএম কামাল উদ্দিন এবং ইস্টার্ন হাউজিংয়ের চেয়ারম্যান মনজুরুল ইসলাম।
এ বিভাগে নির্বাচিত হয়েছেন বিশ্বাস পোলট্রি অ্যান্ড ফিশ ফিডসের চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান, ইনসেপ্টা ভ্যাকসিনের ভাইস চেয়ারম্যান আক্তার জাহান হাসমিন, অকো-টেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুস সোবহান, জিন্নাত নিটওয়্যারসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার, রোমানিয়া ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির বাবুল, প্রমি এগ্রো ফুডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. এনামুল হাসান খান, মাসকো পিকাসোর পরিচালক ফাহিমা আক্তার, টর্ক ফ্যাশনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মূহাম্মদ কামাল উদ্দিন, জিন্নাত অ্যাপারেলসের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ ও সিটাডেল অ্যাপারেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহিদুল ইসলাম।
এ বিভাগে নির্বাচিত হয়েছেন রংপুর ফাউন্ড্রির পরিচালক চৌধুরী কামরুজ্জামান ও এরফান এগ্রো ফুডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহবুব আলম। এ ছাড়া মাইক্রো শিল্প ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হয়েছেন মাসকো ডেউরি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী এমএ সবুর।