তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএভুক্ত শতভাগ কারখানায় মার্চ মাসের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। এছাড়া ৯৯ দশমিক ৭২ শতাংশ কারখানায় দেওয়া হয়েছে ঈদ বোনাস। বাকি ছয়টি কারখানার উৎসব ভাতা আজ বৃহস্পতিবারের মধ্যে দেওয়া হবে। এছাড়া এপ্রিল মাসের অগ্রিম বেতন দিয়েছে ৮২ দশমিক ১৯ শতাংশ কারখানা। বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে এ তথ্য জানায় বিজিএমইএ।
সংগঠনটি জানায়, বিজিএমইএ সদস্যদের চালু কারখানার সংখ্যা ঢাকায় এক হাজার ৮৯৪টি এবং চট্টগ্রামে ২৫৭টি। মোট ২১৫১টি কারখানা। এর মধ্যে মার্চ মাসের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে শতভাগ কারখানায়। আর ঈদুল ফিতরের উৎসব ভাতা প্রদান করা হয়েছে ২১৪৫টি অর্থাৎ ৯৯ দশমিক ৭২ শতাংশ কারখানায়। অবশিষ্ট ছয়টি কারখানার উৎসব ভাতা বৃহস্পতিবারের মধ্যে প্রদানের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
এ বিষয়ে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, আগের বছরগুলোর ধারাবাহিকতা রক্ষা করে এবছরও পোশাক শিল্পখাতের উদ্যোক্তারা শ্রমিকদের ঈদ আনন্দময় করতে পাওনাদি পরিশোধ করার সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
বিজিএমইএ জানায়, ঈদের আগে বেতন-ভাতা নিয়ে সমস্যা হতে পারে, এমন ৪৫০টি কারখানাকে মনিটরিংয়ের আওতায় এনে সমস্যার ধরণ বুঝে সমাধানের উদ্যোগ নেয় বিজিএমইএ। বিজিএমইএ’র সরাসরি হস্তক্ষেপে এর মধ্যে ২৬টি কারখানার শ্রমিকদের বেতন-ভাতা নিশ্চিত করা হয়েছে।
তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের এ সংগঠন জানায়, সরকারের সিদ্ধান্ত ছিল ঈদের আগে শ্রমিকদের মার্চ মাসের পূর্ণ বেতন ও উৎসব ভাতা দেওয়া হবে। কিন্তু শ্রমিকদের দাবি ছিল এপ্রিল মাসের ১৫-২০ দিনের বেতন অগ্রিম দিতে হবে। শ্রম আইন অনুযায়ী এপ্রিল মাসের বেতন পরবর্তী মাস অর্থাৎ মে মাসের ৭ কর্মদিবসের মধ্যে প্রদান করার কথা রয়েছে। কিন্তু শ্রমিক চাইলে, আর মালিকের সক্ষমতা থাকলে অগ্রিম বেতন দেওয়া যেতে পারে। তবে এ বিষয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। সীমাবদ্ধতা থাকার পরও ১৭৬৮টি কারখানা এপ্রিল মাসের অগ্রিম বেতন দিয়েছে।
কয়েকটি কারখানায় শ্রমিকদের ভাঙচুর ও বিক্ষোভের বিষয়ে বিজিএমইএ জানায়, প্রচলিত ধারার বাইরে বাড়তি ১১-১২ দিন ছুটির দাবিতে কারখানা ভাঙচুর হয়েছে। তথাকথিত শ্রমিক নেতা নামধারী ব্যক্তিদের ইন্ধন ও গুজব রটানোর মাধ্যমে ভাঙচুর হয়। তবে শেষপর্যন্ত সবার সহযোগিতায় এ সমস্যার সমাধান হয়েছে।