রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০৭ পূর্বাহ্ন




সাইবার সাপোর্ট সেন্টারে বছরে অভিযোগ ২৬ হাজার

আউটলুক বাংলা রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময়: সোমবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৩ ৭:০৫ pm
specialized intelligence investigation wing police Criminal Investigation Department CID পুলিশ অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট সিআইডি
file pic

প্রায় প্রতি দিনই ফোন আসে সিআইডির সাইবার সাপোর্ট সেন্টারে। ফেসবুক পেজে মেসেজ আসে শত শত। নারীদের নানাভাবে হয়রানি, নিগ্রহ এবং বিভিন্ন প্রতারণার অভিযোগই বেশি। গত বছর (২০২২) সাইবার সাপোর্ট সেন্টার তাদের ফেসবুক পেজের মাধ্যমে এ ধরনের অভিযোগ পেয়েছে ২৫ হাজার ৪৩৫টি। এরমধ্যে ১৬ হাজার ৩২৮টি অভিযোগের সমাধান করেছে সিআইডি। কোনও ক্ষেত্রে অভিযুক্তকে ডেকে এনে আলোচনার মাধ্যমে, আবার ক্ষেত্রবিশেষে মামলা দিয়ে এসব অভিযোগের সমাধান করা হয়েছে।

জানা গেছে, গত বছর সিআইডির সাইবার সাপোর্ট সেন্টার ফোনে অভিযোগ পেয়েছে ৯ হাজার ৭৭টি। ফোনে পাওয়া অভিযোগের মধ্যে ৬ হাজার ৮৫৯টি অভিযোগ সমাধান করে তারা। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৪৭৭টি এবং ফেব্রুয়ারিতে ৫২৬টি অভিযোগ পায় সিআইডি। এসবেরও পর্যায়ক্রমে অনুসন্ধান ও তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

সাইবার জগতে অপরাধ বাড়ছে আশঙ্কাজনকহারে। অপরাধের ধরনও পাল্টাচ্ছে প্রতিনিয়ত। ক্রমবর্ধমান এই সাইবার অপরাধ ও প্রচলিত অপরাধ কার্যকরভাবে মোকাবিলা করতে চায় সরকার। যে কারণে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) আরও শক্তিশালী করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে সিআইডির ডিজিটল ফরেনসিক ল্যাবকে আরও আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ করা। জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে ডিজিটাল তদন্ত ক্ষমতাকে শক্তিশালী করার জন্য প্রায় ৬০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। সিআইডির এই ফরেনসিক ল্যাবের কার্যক্রমকে প্রাথমিকভাবে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে আরও সম্প্রসারিত করার কাজ শুরু হয়েছে।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) সূত্র জানায়, প্রতি দিন শত শত অভিযোগ আসে সিআইডির সাইবার সাপোর্ট সেন্টারে, যা সমাধানে হিমশিম খেতে হয় তাদের। জনবল সংকটসহ নানা সমস্যা থাকায় সব অভিযোগ আমলে নিতে পারছে না সংস্থাটি। জটিল ও কঠিন সাইবার অপরাধসহ প্রচলিত অপরাধগুলো দ্রুত সমাধানে সিআইডিকে প্রযুক্তির দিক থেকে আরও দক্ষ করে গড়ে তুলতে চায় সরকার। তাছাড়া দক্ষ মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রমাণ-ভিত্তিক পুলিশিংয়ের উন্নয়নে এসব উদ্যোগ নেওয়া হয়। যার একটি হচ্ছে- ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য নিরাপদ সাইবারস্পেস করতে হলে পুলিশের জাতীয় ও আঞ্চলিক ডিজিটাল তদন্ত ক্ষমতা বাড়ানো। যে কারণে সেই উদ্যোগ বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) থেকেও একটি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের অধীন আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে চট্টগ্রামে সাইবার পুলিশ সেন্টারের জন্য ১০ তলা ভবন তৈরি করা হবে। কম্পিউটার ও প্রশিক্ষণ সরঞ্জামাদিসহ কিছু সফটওয়্যার কেনা হবে সিআইডির জন্য। এ জন্য সরকারের ব্যয় হবে প্রায় ৬০ কোটি টাকা। এতে ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য নিরাপদ সাইবারস্পেস বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সিআইডি তথা পুলিশের জাতীয় ও আঞ্চলিক ডিজিটাল তদন্ত ক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পাবে।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাইবার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মোহাম্মদ রেজাউল মাসুদ বলেন, ‘সাইবার অপরাধের ধরন দিন দিন পাল্টাচ্ছে। প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় সাইবার অপরাধীরাও নিত্য নতুন কৌশল অবলম্বন করছে। এজন্য সিআইডির সক্ষমতা বাড়ানো উচিত।’ তিনি বলেন, ‘সাইবার অপরাধ বন্ধ বা প্রতিরোধ করা খুবই কঠিন কাজ। নিত্য নতুন পন্থা অবলম্বন করে প্রতারণা বা বুলিং করে সাইবার অপরাধীরা। কারণ, ফেসবুক ও অনলাইনে হাজারো ছবি ও ভিডিও পাওয়া যায় এখন। তাই ফরেনসিক ল্যাব যত শক্তিশালী হবে, তত মঙ্গল সবার জন্য। [বাংলা ট্রিবিউন]




আরো






© All rights reserved © outlookbangla

Developer Design Host BD