বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ০৬:০২ পূর্বাহ্ন




মেডিটেশন চর্চায় গড়ে উঠুক সুস্থ জাতি

২১শে মে বিশ্ব মেডিটেশন দিবস

আউটলুক বাংলা রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময়: শুক্রবার, ১৯ মে, ২০২৩ ৮:৩৫ pm
World Meditation Day Meditation বিশ্ব মেডিটেশন দিবস shukria meditation মেডিটেশন ধ্যান ওয়ার্ল্ড মেডিটেশন ডে বিশ্ব ধ্যান দিবস
file pic

মেডিটেশন ও বিজ্ঞানভিত্তিক জীবনযাত্রা নিয়ে আমাদের দেশে এখন সচেতনতা বাড়ছে। এটি খুবই আশার কথা। এ আশাবাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আনন্দ। কারণ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সম্প্রতি যোগ-মেডিটেশনকে স্বাস্থ্যসেবার পরিপূরক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে আর এ উদ্যোগকে অভিনন্দন জানিয়েছেন দেশের চিকিৎসক মহল।

জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগ. (অব.) ডা. আবদুল মালিক বহুদিন ধরেই মেডিটেশনের ওপর গুরুত্বারোপ করছেন। তিনি বলেছেন, পরিপূর্ণ সুস্থতার জন্যে বিদ্যমান চিকিৎসার পাশাপাশি প্রয়োজন মেডিটেশন। সম্প্রতি একটি বৈজ্ঞানিক সেমিনারে জাতীয় অধ্যাপক ডা. শাহলা খাতুনসহ দেশবরেণ্য চিকিৎসা বিজ্ঞানীরাও মেডিটেশনের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।

চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের পরামর্শকে সামনে রেখেই এ বছরও ২১শে মে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন পালন করতে যাচ্ছে বিশ্ব মেডিটেশন দিবস। ২০২১ সাল থেকেই দেশে দিবসটি পালিত হচ্ছে। প্রতিপাদ্য ‘ভালো মানুষ ভালো দেশ স্বর্গভূমি বাংলাদেশ’ এর বাস্তব রূপায়নের জন্য সুস্থ সবল কর্মোদ্যোগী মানুষের কোনো বিকল্প নেই। এ বছরও ২১শে মে রোববার সকাল ৬টায় সারা দেশে বিভিন্ন উন্মুক্ত স্থানে সমবেত হবেন ধ্যানীরা। তারা বিশ্বাস করেন, শারীরিক মানসিক সামাজিক ও আত্মিক অর্থাৎ টোটালি ফিট থাকতে মেডিটেশনের কোনো বিকল্প নেই। তাই মেডিটেশন চর্চার ভেতর দিয়ে সুস্থতা ও প্রশান্তির বাণী ছড়িয়ে দেয়ার প্রত্যাশা সবার।

প্রসঙ্গত, বর্তমান বিশ্বে সংক্রামক ব্যাধির চেয়ে অসংক্রামক ব্যাধির প্রকোপই বেশি। হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়বেটিস, মেদস্থূলতা, বিষণ্নতা, অনিদ্রা, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, স্ট্রেস ইত্যাদির ফলে মৃত্যুর হার ক্রমশই বাড়ছে। এসব অসুস্থতা থেকে মুক্ত থেকে সুস্থ কর্মক্ষম জীবন পেতে সচেতন মানুষ তাই ঝুঁকছেন এখন লাইফস্টাইল পরিবর্তনের দিকে। আর লাইফস্টাইল পরিবর্তনের একটি বড় উপাদান হলো- দৈনন্দিন জীবনে মেডিটেশন বা ধ্যান চর্চাকে অন্তর্ভুক্ত করা। দিনে ২০-৩০ মিনিট ধ্যানচর্চা হতে পারে প্রশান্ত ও সুস্থ জীবনের পথে একটি উল্লেখযোগ্য অনুঘটক। সঙ্গে বৈজ্ঞানিক খাদ্যাভ্যাস, যোগ ব্যায়াম, শারীরিক পরিশ্রম, ভালো ঘুম, ইতিবাচক চিন্তা, হাসি ইত্যাদি যুক্ত হলে তো কথাই নেই। অসংক্রামক ব্যাধির দৌরাত্ম্য কমে যাবে। বেড়ে যাবে মানুষের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা, কর্মক্ষমতা ও প্রাণচাঞ্চল্য। ফলে সাশ্রয় হবে চিকিৎসা ব্যয়। যা ব্যক্তিজীবনের পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতেও ফেলবে ইতিবাচক প্রভাব।




আরো






© All rights reserved © outlookbangla

Developer Design Host BD