বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৩৫ পূর্বাহ্ন




মার্কিন ভিসা নীতি নিয়ে যা বলছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

আউটলুক বাংলা রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময়: বৃহস্পতিবার, ২৫ মে, ২০২৩ ৪:৩৩ pm
MoFA পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন Foerign_minstry_momen পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন Foreign Minister AK Abdul Momen Ministry of Foreign Affairs পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
file pic

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারের নজরে এসেছে। দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সমুন্নত রাখতে সর্বস্তরে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকারের দ্ব্যর্থহীন অঙ্গীকারের বৃহত্তর প্রেক্ষাপট থেকে এই ঘোষণাটিকে দেখছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিবৃতিটি প্রকাশ করে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিকভাবে স্থিতিশীল দেশে পরিণত হয়েছে। এখানে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে নিয়মিত নির্বাচন আয়োজিত হয়ে আসছে। ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর থেকে এটা স্পষ্ট যে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অব্যাহত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে দেশের জনগণের অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হয়েছে। ২০০৬ সালে যেখানে ৪১.৫ শতাংশ দারিদ্র্য ছিল দেশে, ২০২২ সালে তা কমে ১৮.৭ শতাংশে নেমে এসেছে। একইসঙ্গে চরম দারিদ্র্য ২৫.১ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ৫.৬ শতাংশে নেমে এসেছে।

বিবৃতিতে বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল বলে বর্ণনা করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে আরও বলা হয়, গত চৌদ্দ বছরে টানা তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচিত হওয়ার কারণেই বাংলাদেশ এত কিছু অর্জন করতে পেরেছে। নিজেদের ভোট ও গণতান্ত্রিক অধিকারের ব্যাপারে বাংলাদেশের জনগণ অনেক বেশি সচেতন।

ভোট কারচুপির মাধ্যমে জনগণের ম্যান্ডেট কেড়ে নিয়ে ক্ষমতায় থাকার কোনো নজির নেই। আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটাধিকারকে রাষ্ট্রীয় পবিত্রতা হিসেবে বিবেচনা করে। এমনকি জনগণের ভোটাধিকারের জন্য এ সরকারের নিরলস সংগ্রাম ও ত্যাগের ইতিহাস রয়েছে। শান্তিপূর্ণ ও বৈধ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য গণজমায়েতের স্বাধীনতাকে গুরুত্ব দেয় সরকার।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে পূর্ণ স্বাধীনতা, বিশ্বাসযোগ্যতা ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। সামনের নির্বাচনগুলো যাতে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয় তা নিশ্চিতে যে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বেআইনি আচরণ বা হস্তক্ষেপ প্রতিরোধ ও মোকাবেলার জন্য সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এছাড়া নির্বাচন কমিশন কর্তৃক স্বীকৃত আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের দ্বারা নির্বাচনী প্রক্রিয়া কঠোর নজরদারির মধ্যে থাকবে।

বিবৃতির শেষে বলা হয়, কঠোর পরিশ্রমে অর্জিত এই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং দেশের উন্নয়নের অর্জনকে ধারণ করা সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশের জনগণের নিজস্ব বিষয়। তবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যেভাবে তার পাশে রয়েছে তার জন্য ধন্যবাদ দেয়া হয় ওই বিবৃতিতে।




আরো






© All rights reserved © outlookbangla

Developer Design Host BD